• জলের পাইপ ফেটে দু’মাস ধরে জলমগ্ন কাঁকসার বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকা
    বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানকর: পিএইচই’র জলের পাইপ ফেটে দু’মাস ধরে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে কাঁকসার বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন জল জমে রয়েছে। নোংরা জল বাড়িতে ঢুকেছে। প্রশাসনকে বহুবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পাইপ লাইন সারানোর কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের কাছে এসেছিলেন। ওখানে জল নিকাশির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পিএইচই দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওরা বলেছে দ্রুত মেরামত করবে। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে বলে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।  

    স্থানীয় বাসিন্দা সোমা ঘোষাল বলেন, মেয়েদের স্কুল যাওয়া, আমাদের বাইরে যাওয়া সব কিছুতেই সমস্যা হচ্ছে। বাড়ির চারিদিক জলে ভর্তি। পাশেই বিডিও অফিস। অনেকবার বিডিওকে জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা কোথায় যাব বুঝতে পারছি না। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্লক অফিস, দমকল কেন্দ্রের প্রায় লাগোয়া এই এলাকা। প্রশাসনের কর্তারা নিত্যদিন এই দুর্ভোগ দেখতে পাচ্ছেন। তারপরেও কোনও সুরাহা করা হচ্ছে না। একদিকে পাইপ ফেটে জল অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির ফলে সারাক্ষণ জল জমে থাকছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা অনন্যা দাম বলেন, আমার সাত মাসের শিশু রয়েছে। জল পেরিয়ে ডাক্তার দেখাতে যেতে হচ্ছে। সবসময় সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আতঙ্কের পরিস্থিতি এলাকায়। 

    এদিন নিকাশি নালা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, জমা জল বেরোনোর জন্য নালা নেই। ফলে রাস্তার উপর জল জমে থাকছে। দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকায় শ্যাওলা হয়ে গিয়েছে। অনেকে তাতে পড়ে গিয়ে কম-বেশি জখমও হয়েছেন। রাত্রে সমস্যা বাড়ছে। এমনিতেই সাপের ভয়। রাস্তার আলো না থাকায় রাতে ভয় আরও বাড়ছে। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও লাভ হয়নি। কেউ কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। স্থানীয় বাসিন্দা শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ঘরে জল ঢুকছে। মশা, সাপের উপদ্রব বেড়েছে। বহুদিন ধরে ভুগছি। বিজেপি নেতা পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, ওখানে শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে জলে পড়লে বড় বিপদ হয়ে যাবে। পাশেই বিডিও অফিস। তারপরেও নজর নেই। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিধান রাও বলেন, আগের নিকাশী নালা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া মানুষ নালায় নোংরা আবর্জনা ফেলে নালা বন্ধ করে দিয়েছে। জল নিকাশির চেষ্টা আমরা করছি। দমকল বাহিনীর সঙ্গেও কথা বলেছি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)