কৃষকদের সঙ্কট নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ সংযুক্ত কিষান মোর্চা, হিমঘর থেকে ২৫ শতাংশ আলু বেরিয়েছে, চিন্তার কিছু নেই, দাবি কৃষি বিপণন দপ্তরের
বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: হিমঘর থেকে ইতিমধ্যেই ২৫ শতাংশ আলু বেরিয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। এমনটাই দাবি জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি বিপণন বিভাগের কর্তাদের। এদিকে, হিমঘরে মজুত থাকা আলু ও জেলার আলুচাষিদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় সংযুক্ত কিষান মোর্চা।
জলপাইগুড়ির সহকারী কৃষি বিপণন অধিকর্তা দেবাঞ্জন পালিত বলেন, আলু নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। গত বছরের নিরিখে হিমঘর থেকে আলু বেরনোর গতি ঠিক আছে। এবার জলপাইগুড়ি জেলায় ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন আলু হিমঘরে মজুত হয়। ২৫ শতাংশ আলু ইতিমধ্যেই বেরিয়েছে। প্রশাসন কৃষকের কাছ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে জ্যোতিআলু এবং সাড়ে ১২ টাকা কেজি দরে লালআলু কিনেছে। এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় কৃষকের কাছ থেকে প্রশাসন সরাসরি ৬৮২ মেট্রিক টন আলু কিনেছে। এবার জলপাইগুড়ি জেলায় কৃষকরা গড়ে ৮ টাকা কেজি দরে জ্যোতিআলু এবং ১০ টাকা কেজি দরে লালআলু হিমঘরে রেখেছিলেন বলে কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে খবর।
যদিও ১৩ টাকা কেজি দরে রাজ্য সরকারকে আলু কেনার দাবিতে এদিন জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সংগঠনের তরফে একটি প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের কার্যালয়ে এসে স্মারকলিপি দেয়। সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলার আহ্বায়ক আশিস সরকারের দাবি, খুচরো বাজারে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কৃষকরা কেজি প্রতি ৭-৮ টাকার বেশি দাম পাচ্ছেন না। হিমঘর থেকে তাঁদের আলু বের হচ্ছে না। পাইকাররা আলু কেনার ব্যাপারে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। সেকারণে বাজারে আলুর চাহিদা নেই।
জলপাইগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতা গোবিন্দ রায়ের দাবি, কৃষকরা যখন হিমঘরে আলু রেখেছিলেন, তখন ট্রাক প্রতি আলু রাখতে যা খরচ পড়েছিল, এখন সেই খরচ উঠছে না। ফলে আলু চাষিরা খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। সেকারণে প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার যাতে আলু চাষিদের কাছ থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে আলু কেনে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে এদিন দাবি জানানো হয়েছে, সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় ২৫ শতাংশ উঁচু জমিতে আমন ধান রোয়া করা যায়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করতে হবে। নিজস্ব চিত্র।