নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: অবৈধভাবে কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। এমন সন্দেহ প্রকাশ করে মঙ্গলবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরব হলেন অশিক্ষক কর্মীরা। কর্মী নিয়োগের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি। যা নিয়ে এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সাময়িক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অশিক্ষক কর্মীদের দাবি, দীর্ঘবছর অস্থায়ী হিসেবে কাজ করে গেলেও এখনও স্থায়ীভাবে তাঁদের নিয়োগ দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। উপরন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে কয়েকজন কর্মী নিয়োগের চেষ্টায় আছে কর্তৃপক্ষ। যদিও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার রায়ের বক্তব্য, অশিক্ষক কর্মীদের দাবি এবং সন্দেহ দুই ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয় কোনও কর্মী নিয়োগ করেনি।
এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জমায়েত করে স্লোগান দিতে দিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান অশিক্ষক কর্মীরা। একটি দাবিপত্রও তুলে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আধিকারিকদের হাতে। এব্যাপারে তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যবেক্ষক বিজয় দাস বলেন, সোমবার আমরা দু-তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করতে দেখি। যাঁরা একেবারেই নতুন মুখ। তখন আমরা এব্যাপারে রেজিস্ট্রারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোনও কর্মীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিনা, জানতে চাই। রেজিস্ট্রার আমাদের জানান, কোনও নতুন নিয়োগ হয়নি। নিরাপত্তারক্ষীদের এজেন্সির থেকে লোক নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন ছিল, যদি নিরাপত্তা এজেন্সি থেকে লোক নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তাঁরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছেন। আমাদের সন্দেহ বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধভাবে কর্মী নিয়েছে।
বিজয়বাবুর দাবি, একসময় এখানে ৫১টি শূন্যপদ সৃষ্টি করে নিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের গাফিলতিতে অনেক কর্মীকে স্থায়ী করার প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। আজও পর্যন্ত আমাদের নিয়োগ হয়নি। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মীদের আগে স্থায়ীভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হোক।
এদিকে,অস্থায়ী উপাচার্য কাউকে সরাসরি নিয়োগ দিতে পারেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট অফিসার অমিত কুমার মণ্ডল বলেন, কর্মীদের কী দাবিদাওয়া আছে, স্পষ্টভাবে জানি না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে কর্মী নিয়োগের বিশেষ ক্ষমতা আছে উপাচার্যের। নিজস্ব চিত্র।