• ছাদের চাঙড় খসে পড়ার শঙ্কা, সেই ঘরে ক্লাস, আতঙ্কে শিক্ষক-পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: প্রাথমিক স্কুলের ক্লাসরুমের ছাদ সংস্কার না হওয়ার ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। এই অবস্থায় ক্লাস করছে বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়ারা। যেকোনও মুহূর্তে ছাদের চাঙড় খসে পড়তে পারে ছাত্রছাত্রীদের মাথায়। এমনই দশা কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। আতঙ্ক নিয়েই ক্লাসে পড়াশোনা করতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের। আতঙ্কিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

    জানা গিয়েছে, এই স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১০৪ জন পড়ুয়া রয়েছে। স্কুলে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। একটি ঘরে মিড ডে মিলের খড়ি রাখা হয়। বাকি চারটি ঘরে ক্লাস করানো হয়। তারমধ্যে দু’টি ক্লাসরুমের ছাদ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চাঙড় খসে পড়তে পারে। দেওয়ালের অবস্থাও শোচনীয়। সেই স্যাঁতসেতে ঘরে বসে পড়াশোনা করতে হয় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুদের। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। সন্তানদের মাথার উপর চাঙড় ভেঙে পড়লে তারা জখম হতে পারে, এমনকী প্রাণহানিও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কিত বাবা-মায়েরা। 

    ইতিমধ্যে, এই বিদ্যালয়ের বেহাল শ্রেণিকক্ষের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাতে দেখা গিয়েছে ছাদ চুঁইয়ে বৃষ্টির জল পড়ে জমে রয়েছে শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে। তারমধ্যেই চলছে পঠনপাঠন। তা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। শিক্ষা মহলে চর্চা চলছে। স্কুলের এহেন হাল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারাও।

    ছোটদের এভাবে পড়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তাঁরাও একই রকম আতঙ্কিত। এব্যাপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অয়ন দত্ত বলেন, গত ছ’বছর ধরে এই প্রাথমিক স্কুলের দু’টি ক্লাস রুমের ছাদ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ছাদ চুঁইয়ে বৃষ্টির জল পড়ে। সেই ঘরে পঠনপাঠন চলে। বৃষ্টির জল পড়ে বই, ছোটদের জামাকাপড় ভিজে যায়। যেকোনও মুহূর্তে বাচ্চাদের উপর ছাদের চাঙড় খসে পড়তে পারে। প্রশাসনকে বহুবার লিখিতভাবে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি।

    এই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন আলি বলেন, আমি আগে এই বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তখন আমার এমন সমস্যা নজরে আসেনি। শ্রেণিকক্ষের এমন পরিস্থিতি নিয়ে আমায় কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। আমি এবিষয়ে খোঁজ নেব।  ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে উদগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)