ভুটানের ডাম্পারের তলায় লুকিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ
বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: একেবারে অভিনব কায়দায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করল এক যুবক। যদিও নজরে আসতেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি যুবককে আটক করে বিএসএফ। পরে তাকে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এনজেপি থানার এক পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত জীবন রায় বাংলাদেশের রংপুরের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ফুলবাড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। এদিন একটি ভুটান নম্বরের গাড়ি বাংলাদেশের বাংলাবান্ধায় বোল্ডার খালাস করে ভারতে ঢোকার সময় বিএসএফ সীমান্তে তল্লাশি করে। গাড়ির নীচে তাকাতেই অবাক হয়ে যান জওয়ানরা। তাঁরা দেখেন, ডাম্পারের চেসিসে বসে বাংলাদেশ থেকে এদেশে ঢুকেছে এক যুবক। তাকে দেখে চমকে যান জওয়ানরা। দ্রুত বিএসএফের শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে এবিষয়ে খবর পাঠানো হয়।
এরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়ির চালক রঞ্জিত ওরাওঁ এবং ওই বাংলাদেশি যুবককে আটক করে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। দু’জনকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিএসএফ জানতে পারে বাংলাদেশের রংপুর জেলার বাসিন্দা ওই যুবক ভারতে আসার জন্য ডাম্পারের চ্যাসিসকেই বেছে নেয়। যদিও শেষপর্যন্ত বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায় সে। রাতে এনজেপি থানার পুলিসের হাতে ওই বাংলাদেশি যুবক ও ভুটানের ডম্পার চালককে তুলে দেয় বিএসএফ।
বিএসএফের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, প্রতিটি গাড়ি পারাপারের সময় আমরা তল্লাশি চালাই। এদিনও বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকার সময় ভুটানের একটি ডাম্পারে তল্লাশি চালানোর সময় ওই যুবককে গাড়ির নীচে চ্যাসিসে বসে থাকতে দেখেন জওয়ানরা। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় সে বাংলাদেশি। অবৈধভাবে এদেশে আসার জন্য তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, খড়িবাড়িতে ভুয়ো নথি তৈরি করে নাম বদলে থাকার অভিযোগে সম্প্রতি এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। তার আগে এনজেপি থানা এলাকায় ধরা পড়ে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি। ভুয়ো নথি তৈরি করে অবৈধভাবে ছিল পড়শি দেশের ওই বাসিন্দারা। তবে এবারে যে পন্থা অবলম্বন করে ওই যুবক ভারতে ঢুকল তা অতীতে পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছেন বিএসএফের শীর্ষ আধিকারিকরা।
বিএসএফের একাংশের দাবি, এই ধরনের ঘটনার সামনে আসার পর একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ভুটানের গাড়িগুলি বোল্ডার নিয়ে বাংলাদেশে যায়। আবার সেখান থেকে ফিরে আসে। এভাবে নয়া উপায়ে লোক পাঠানোর কোনও এজেন্ট তৈরি হয়েছে কি না সেই বিষয়েও খোঁজ শুরু করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।