এখনও জমে জল, স্কুলে নৌকা নামানোর দাবি অভিভাবকদের, জলপাইগুড়ির বালাপাড়া তিস্তার চর এসপি প্রাইমারি
বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: শহর লাগোয়া বালাপাড়া তিস্তার চর এসপি প্রাইমারি স্কুল চত্বর থেকে বৃষ্টির জমা জল নামেনি। এনিয়ে সোমবারের পর মঙ্গলবার ফের বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। স্কুল থেকে দ্রুত জল নামার ব্যবস্থা করতে না পারলে, নৌকা নামানো হোক বলে দাবি তোলেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। এদিন স্কুল শুরুর পর থেকেই অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর জেরে কার্যত লাটে ওঠে পড়াশোনা।
অভিযোগ, সোমবারের পর এদিনও হাঁটু পর্যন্ত জমা জল পেরতে গিয়ে দু’জন খুদে পড়ুয়া পড়ে যায়। এরপরই কিছু অভিভাবক স্কুল থেকে তাঁদের সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেন প্রধান শিক্ষক নয়নরঞ্জন বক্সি। স্কুল ছুটি না হওয়া পর্যন্ত পড়ুয়াদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। একদল অভিভাবক স্কুলে ঢুকে চিৎকার চেঁচামেচি করেন। অন্যদল স্কুলের গেট আটকে দাঁড়িয়ে থাকেন। খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস আসে। আসেন বিজেপির স্থানীয় দুই পঞ্চায়েত সদস্য জয়া সরকার বিশ্বাস ও গোবিন্দ বাড়ুই। কিছুক্ষণ পর আসেন খড়িয়া পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক নিলয় গুহ রায়। তাঁকে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন এলাকার মহিলারা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না, স্কুলে জল জমার সমস্যার সমাধান হোক বলে জানান কিছু মহিলা।
এনিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক। তিন দিনের মধ্যে জল না নামলে স্কুলে তালা মারার হুমকি দিয়েছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, আগে স্কুলের পরিবেশ ঠিক হোক। তারপর তাঁরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবেন।
এদিন বিজেপি কয়েকজন মহিলাকে দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না, স্কুলে জল জমার সমস্যার সমাধান হোক বলে বলায় বলে অভিযোগ। এনিয়ে অভিভাবক সোনালি বাড়ুই বলেন, স্কুলে জল জমার সমস্যা নিয়ে বহুবার বলা হয়েছে। তারপরও কিছু হয়নি। সেকারণেই এদিন আমরা বলেছি, আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লাগবে না। আর এক অভিভাবক অলোকা মণ্ডল বলেন, যদি জল জমার সমস্যা না মেটাতে পারে প্রশাসন, তাহলে স্কুলে যাতায়াতের জন্য নৌকা নামানো হোক।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জয়া সরকার বিশ্বাস বলেন, ওই স্কুলে জল জমার সমস্যা অনেকদিনের। এনিয়ে আমি বহুবার বিডিও অফিসে জানিয়েছি। বিডিও মিহির কর্মকার বলেছেন, বিষয়টি শুনেছি। স্কুল থেকে জল বের করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।