• আড়শায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু যুবকের, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ আগস্ট ২০২৫
  • পুরুলিয়ার আড়শা থানার পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের জেরে বিষ্ণু কুমার নামে এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই মামলায় এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দেন, বিষ্ণুর মরদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে এবং তা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারি মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান কল্যাণীর এইমসে।


    ৩৪ বছর বয়সি বিষ্ণু কুমারকে গত ১৬ জুলাই একটি মোবাইল ফোন চুরির মামলায় ডেকে পাঠানো হয় আড়শা থানায়। ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফিরলেও, তার তিন দিন পর ১৯ জুলাই হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, থানায় পুলিশি হেফাজতে মারধরের ফলে বিষ্ণু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার জানায়, মৃত্যুর ঠিক পরদিন পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু সেই রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদযন্ত্র, যকৃত ও কিডনি বিকলের কথা উল্লেখ করা হয়। অথচ শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেই দাবি করা হয়।

    তবে পরিবারের অভিযোগ, ওই রিপোর্টে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে এবং প্রকৃত সত্য গোপন করা হয়েছে। ফলে তারা দেহ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। সুবিচারের আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ৭ অগস্ট এইমসে ফের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের আইনজীবী সাগ্নিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বিষ্ণুর ভাই সমন কুমার জানান, তাঁর দাদা থানায় ফেরার পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন। খাওয়া-দাওয়াও একপ্রকার বন্ধ ছিল। কোমরে ব্যথা হচ্ছিল বলে দেখাচ্ছিলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ময়নাতদন্তের সমস্ত কিছুই ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছে এবং রিপোর্ট অনুযায়ী কোনও নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। বিষ্ণুর স্ত্রী নমিতা কুমার যেমন বলেছেন, একটা মানুষ এমন হঠাৎ করে মারা যেতে পারে না, যদি না ওঁকে নির্যাতন করা হয়। আমরা আইনের উপরে ভরসা রাখছি, সুবিচার পাব বলেই আশাবাদী।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)