রাজ্যের অফিসারেরা আর নন, সচিত্র পরিচয়পত্র বিলিতে এ বার সরাসরি নজরদারি সিইও-র! পদ্ধতি বদল কমিশনের
আনন্দবাজার | ০৫ আগস্ট ২০২৫
সচিত্র পরিচয়পত্র (এপিক) বিলি বা সরবরাহে এ বার সরাসরি নজরদারি করবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর। ভোটারদের কাছে দ্রুত এপিক পোঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ বলে সিইও দফতরের একটি সূত্রের খবর।
ওই সূত্র জানাচ্ছে, আপাতত দেড় লক্ষের বেশি এপিক ডাক বিভাগের মারফত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পোঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে তারা এই কাজ পুরোদমে শুরু করবে। বর্তমানে ভোটার কার্ড সরবরাহের দায়িত্ব রয়েছে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের (ডিইও) উপর। এ বার থেকে সেই দায়িত্ব সিইও দফতর নিজেরাই নেবে। সিইও দফতরের এক আধিকারিক মঙ্গলবার জানান, রাজ্যের সব ডিইও-দের কাছে পড়ে থাকা ভোটার কার্ডগুলি ১৫ দিনের মধ্যে ভোটারদের বাড়িতে বিলি (ডেলিভারি) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ অগস্টের মধ্যে সেগুলি বিলি করা না গেলে সব এপিক জমা দিতে হবে সিইও দফতরে। তারা সেগুলি বিলি করবে।
আগেকার ব্যবস্থা অনুযায়ী বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও), ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) হয়ে এপিক যেত জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। সেখান থেকে সিইও দফতর হয়ে মুদ্রণের জন্য পাঠানো হত। মুদ্রিত এপিক আবার উল্টো পথে যেত ইআরও-দের কাছে। সেখান থেকে পাঠানো হত ডাক বিভাগে। তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই সচিত্র পরিচয়পত্র পৌঁছে দিত। সিইও দফতর জানিয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে প্রথমে মুদ্রণের জন্য পাঠানো হবে সরস্বতী প্রেসে। তারা মুদ্রিত কার্ড পাঠাবে জিপিওতে। জিপিও থেকে ডাকে ভোটারদের বাড়িতে পোঁছে যাবে এপিক।
সিইও দফতরের যুক্তি, নতুন এই পদ্ধতিতে ভোটাররা অনেক তাড়াতাড়ি এপিক পাবেন। প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরকে দ্রুত ‘স্বাধীন দফতর’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য রাজ্যেকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। অন্য দিকে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভোটারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মঙ্গলবার সিইও-র দফতর জানিয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, এপিক বিলি করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের হদিস মিলছে না। উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় ৩০০টির বেশি এপিক বিলি করা যায়নি।