• ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে ‘অনিয়ম’-এর অভিযোগ, চার অফিসারের বিরুদ্ধে FIR-এর নির্দেশ
    এই সময় | ০৫ আগস্ট ২০২৫
  • ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে সামনে এল বড়সড় অনিয়ম। সেই গাফিলতি নজরে আসতে চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করল নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত কমিশনের। বরখাস্ত দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) এবং দুই সহকারী ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (AERO) বিরুদ্ধে FIR-এর নির্দেশ। মঙ্গলবার কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এমনই নির্দেশ দিয়েছে।

    অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিযুক্ত মোট চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে। বারুইপুর পূর্ব এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকার কাজে বড়সড় গাফিলতি খুঁজে পেয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে কয়েকজন নিজেদের গোপনীয় আইডি ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের বলে দিতেন অভিযুক্ত আধিকারিকরা। অপারেটররা সেই আইডি দিয়েই নাম নথিভুক্ত করিয়ে দিতেন। অথচ, ইআরও হিসেবে কাজ করার জন্য যোগ্য শুধু মাত্র এসডিও বা ডব্লুবিসিএস স্তরের আধিকারিকরাই। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে এই কাজের কারণেই তাদের বরখাস্ত করে FIR দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    বারুইপুর পূর্বে ওই তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল এবং ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, সহকারী ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই চার জনের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ ছাড়া সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও FIR-র নির্দেশ কমিশনের।

    এই পুরো বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে কমিশন ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা উল্লেখ করে আইনি পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ হলে তিন মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। উল্লেখ্য, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে কমিশন।

  • Link to this news (এই সময়)