• কলকাতায় ফের কলেরার থাবা! সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জল পরীক্ষা করছে পুরসভা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ আগস্ট ২০২৫
  • কলকাতায় বর্ষা মানেই জলযন্ত্রণা। আর জলমগ্ন মানেই বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব। এবারও সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হল মাত্র চার বছরের এক শিশুকন্যা। উপসর্গ জ্বর, বমি, পেটের ব্যথা। পরীক্ষায় ধরা পড়েছে কলেরা। এই ঘটনার পরেই তৎপর কলকাতা পুরসভা। পানীয় জলের নমুনা পরীক্ষা শুরু করেছে পুরসভা।


    ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, শহরের যে যে এলাকায় সাম্প্রতিক অতীতে জল জমার সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেই সব জায়গার পানীয় জল নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।কলেরার জীবাণু ছড়িয়েছে কি না, তার হদিস পাওয়া হল লক্ষ্য। পর্ণশ্রী অঞ্চলের বাসিন্দা ওই শিশুটি এখন চিকিৎসাধীন। এর আগেও এই মরসুমেই আর এক যুবকের শরীরে মিলেছিল কলেরার সংক্রমণ। জুলাইয়ের ৭ তারিখে পিকনিক গার্ডেন রোডের এক যুবক ভর্তি হয়েছিলেন একই ধরণের উপসর্গ নিয়ে। বমি, পেটব্যথা এবং জ্বর হয়েছিল তাঁর। সেখানেও চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন, রোগীর শরীরে বাসা বেঁধেছিল কলেরা।

    কলকাতার মত ঘনবসতিপূর্ণ শহরে বর্ষার জল জমে থাকা নতুন কিছু নয়। কিন্তু সেই জল যদি মিশে যায় পানীয় জলের লাইনে, তাহলে তার পরিণাম হতে পারে মারাত্মক। পুরসভার একাংশ যদিও বলছে, এখনও পর্যন্ত পানীয় জলের নমুনায় বিপজ্জনক কিছু মেলেনি। তবে সতর্কতা নেওয়া শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে জল সরবরাহের মূল উৎস ও পাইপলাইনের বিভিন্ন অংশ থেকে জল সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলেরা সাধারণত বর্ষাকালে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। জলবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা না পেলে জটিলতা বাড়তে পারে। তাই এবার পুরসভা চাইছে, আগেভাগে ব্যবস্থা নিতে।

    গত বছরও এমন ঘটনা ঘটেছিল, তবে সংখ্যাটা ছিল সীমিত। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। একদিকে জল জমার পরিমাণ বেশি, অন্যদিকে ক্রমশ ধরা পড়ছে একাধিক আক্রান্তের হদিস। এই অবস্থায় যেকোনও অসতর্কতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। জল যেন ঢুকে না পড়ে পানীয় জলের লাইনে সেই চেষ্টাতেই এখন ব্যস্ত কলকাতা পুরসভা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)