• কামারপুকুরে মিশনের অতিথি নিবাসে ১০ কোটি দান, সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা মমতার
    প্রতিদিন | ০৫ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হুগলির বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেখানে একটি অতিথি নিবাস ও পার্কিং লটের উদ্বোধন করে ১০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করলেন তিনি। সেইসঙ্গে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মস্থানে দাঁড়িয়ে তাঁর বাণী স্মরণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ”হিন্দু ধর্ম বোঝার জন্য অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। এখানেই শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রী মা সারদাদেবী, স্বামী বিবেকানন্দের কর্মক্ষেত্র। এই কামারপুকুরে এলেই তা উপলব্ধি করা যাবে। তাঁরা সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে গিয়েছেন।” ফের একবার বাংলা অস্মিতায় শান দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ”মনে রাখবেন, তাঁরা যে ভাষায় কথা বলতেন, তা কিন্তু বাংলা ভাষাই।”

    মঙ্গলবার খানাকুলের প্লাবন পরিস্থিতি দেখতে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কামারপুকুরের কাছে এক ত্রাণশিবিরে গিয়ে সেখানকার আশ্রয়ে থাকা মানুষজনকে নিজে হাতে খিচুড়ি পরিবেশন করেন তিনি। দুর্গতরা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁর কাছে। সবটাই মন দিয়ে শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান রামকৃষ্ণদেবের জন্মস্থান কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে। স্বামীজিদের উপস্থিতিতে সেখানে এক অতিথি নিবাস ও পার্কিং লট তৈরি হওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদান দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    এরপরই রামকৃষ্ণ, সারদা, বিবেকানন্দের বাণীর কথা স্মরণ করে মমতা বলেন, ”স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ‘একতাই আমাদের বল/বিচ্ছিন্নতা পতনের কারণ।’ আমরা ভাগাভাগিতে বিশ্বাসী নই। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি, একসঙ্গে লড়াই করি।” বোঝালেন শ্রীরামকৃষ্ণ কথিত, ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’র মর্মার্থ। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, মানুষের চরিত্র গঠনে অতি গুরুত্বপূর্ণ রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দর বাণী। আর শ্রী সারদা মা শিখিয়েছেন, সহনশীল, ক্ষমাসুলভ হতে। এ প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের ‘কথামৃত’, বিবেকানন্দের ‘তরুণের স্বপ্ন’ বইয়ের কথাও উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।একইসঙ্গে এই মুহূর্তে বাংলা ভাষা ও বাঙালির উপর দেশজুড়ে ‘হেনস্তা’র বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, সেই ইস্যুও মুখ্যমন্ত্রী উসকে দিলেন কামারপুকুর থেকে। মনে করিয়ে দিলেন, মনীষীদের বাণী তৈরি হয়েছে যে ভাষায়, সেই ভাষার ‘অপমান’ সহ্য করবে না বাংলা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)