বাংলার একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছে প্লাবন পরিস্থিতি। একটানা বৃষ্টিতে জেরবার হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু জায়গা। সাধারণ মানুষ বারংবার প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছে। এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর অভিযোগ তির সরাসরি কেন্দ্রের দিকে। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিভিসির জল ছাড়ার পদ্ধতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলা বিরোধী কার্যকলাপের একটি নিদর্শন।
মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে স্পষ্ট করেছেন, ‘ডিভিসির ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ’ আবারও বাংলাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। এবারের ব্যর্থতা শুধু নজিরবিহীনই নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি দাবি করেছেন, ২০২৪ সালে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৪,৫৩৫ লক্ষ কিউবিক মিটার। সেই জায়গায় ২০২৫ সালে জুন-জুলাই মাসে ডিভিসি থেকে ছাড়া হয়েছে ৫০,২৮৭ লক্ষ কিউবিক মিটার জল। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ১১ গুণ বেশি জল ছাড়া হয়েছে চলতি বছরে। ২০২৩ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জল ছাড়ার পরিমাণ প্রায় ৩০ গুণ বেশি।
মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসির ছাড়া জলকে দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, এই পরিস্থিতির জন্য কেবল প্রাকৃতিক বিপর্যয় দায়ী নয়। এটি ‘ম্যান মেড পরিস্থিতি’ অর্থাৎ মানুষের দ্বারা ঘটানো বিপর্যয়। এর নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এই জল ছাড়ার জন্য বাংলার অনেক ক্ষতি হয়েছে। ফসল নষ্ট হয়েছে, রাস্তা ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বহু মানুষ ঘর-ছাড়া হয়েছেন। কেন্দ্র বাংলাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। ডিভিসির এই কার্যকলাপ সকলের কাছে বাংলা-বিরোধীরই নিদর্শন। তিনি ট্যুইটের শেষে স্পষ্ট লিখেছেন, ‘বাংলায় বন্যা ঘটানোর জন্য জল ছাড়ার পরিমাণ যেভাবে ক্রমাগত বাড়ছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও উদ্বেগজনক। এর মধ্যে আমি স্পষ্টই গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি! অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া দরকার।’