শিক্ষার্থীদের টানতে কর্মমুখী যুগোপযোগী পাঠক্রমে জোর দিচ্ছেন ওঁরা। রাজ্য জুড়ে স্নাতকে ভর্তির চরম অনীহায় পাঠ্যসূচি ঢেলে সাজছেন। সদ্য স্বশাসনের অধিকারপ্রাপ্ত বেহালা কলেজ এ বার জিও-ইনফর্মেটিক্স (ভূ-তথ্যবিজ্ঞান), সাইবার সিকিয়োরিটি অ্যান্ড ডিজিটাল ফরেন্সিক, ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স থেকে মাইক্রোবায়োলজির মতো অপেক্ষাকৃত অচেনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাঠ দিচ্ছে। মাইক্রোবায়োলজি তা-ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কলকাতার কয়েকটি কলেজে পরিচিত। বাকি বিষয়গুলি পড়ার সুযোগ কলকাতায় বেশ কম।
এ বারই প্রথম স্নাতকোত্তরে স্বাধীন ভাবে ভর্তি করাচ্ছে বেহালা কলেজ। অধ্যক্ষা শর্মিলা মিত্র বলেন, “সমীক্ষায় দেখছি, ছাত্রছাত্রীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো বিষয় পড়তে চাইছেন।” নতুন সিমেস্টারে ক্লাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নতুন বিষয়ের জন্য ল্যাবরেটরি গড়ার কাজও চলবে বলে জানান শর্মিলা।
ইংরেজিতে এমএ-ও রাখা হচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রচারে নতুন পাঠক্রমের খবর ছড়ানো হচ্ছে। শর্মিলা বলেন, “নতুন বিষয়গুলির জন্য বোর্ড অব স্টাডিজ় এবং বিভাগীয় শিক্ষক ঠিক করার কাজও শেষ। কলেজে আগেই স্নাতক স্তরে কম্পিউটার সায়েন্স ছিল। সেই সূত্রেই জিও-ইনফর্মেটিক্স বা ডেটা সায়েন্সের শিক্ষক-শিক্ষিকা ঠিক করা হয়েছে। ইউজিসি-র বিধি মেনে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও পড়শি রাজ্য ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও রাখা হয়েছে।”
২০২৩ সালে ‘নাক’-এর মূল্যায়নে এ++ তকমা পাওয়ার সময়েই জাতীয় শিক্ষা নীতির আজকের রূপরেখা মেনে কর্মমুখী উদ্যোগ বা প্লেসমেন্ট প্রয়াসে নজর কেড়েছিল বেহালা কলেজ। কর্তৃপক্ষ জানান, ড্রোন পাইলট ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট কোর্সও তাঁরা চালু রাখবেন। ডিফেন্স স্টাডিজ়ের মতো বিষয়ে অনার্সও শীঘ্রই চালু হবে।