সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ নতুন নয়। আর জি করের পড়ুয়া-চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাতেও আমরণ কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ও সিভিক ভলান্টিয়ার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে এ বার সিভিক ভলান্টিয়াদের প্রশিক্ষণ শুরু করল রাজ্য পুলিশ। সোমবার থেকে স্বামী বিবেকানন্দ রাজ্য পুলিশ অ্যাকাডেমিতে প্রাথমিক পর্ব শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ২০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, প্রাথনিক ভাবে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কয়েকটি ব্যাচের প্রশিক্ষণ হওয়ার পর ফলাফল দেখে নিয়ে প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত ‘সিলেবাস’ এবং দিন চূড়ান্ত করা হবে। উল্লেখ্য, আর জি করের ঘটনার পর গত বছরের শেষ থেকেই কলকাতা পুলিশে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শুরু করেছে লালবাজার। প্রতি ব্যাচে ১৬০ জন করে সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রশিক্ষণ চলছে কলকাতাতেই।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন। তাঁরা রাজ্য পুলিশের থানা, ট্রাফিক-সহ সব জায়গায় কর্মরত। তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য নবান্নে আগেই প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ভবানী ভবনে। সেই মতো তিন মাসের প্রশিক্ষণের কথা বলা হলেও প্রাথমিক পর্যায় (পাইলট প্রজেক্ট) হিসেবে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, এ দিন বিধাননগর, ব্যারাকপুর, হাওড়া এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত ৫০ জন করে সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সংখ্যা বেশি তাই ট্রাফিক আইনের খুঁটিনাটি, বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার এবং কী ভাবে গাড়ি তল্লাশি করা হয় ইত্যাদি বিষয় শেখানো হচ্ছে। এ ছাড়াও রাস্তায় সিভিকদের কর্তব্য ও নৈতিক মূল্যবোধের পাঠও দেওয়া হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। ভদ্র এবং শিষ্ট ব্যবহারেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।