• বকেয়া ৭ লক্ষ টাকা, বিধায়কের তৎপরতায় ফিরল কিশোরের দেহ
    বর্তমান | ০৫ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: হার্টের রোগ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এক কিশোরের। কিন্তু বেঙ্গালুরুর বেসরকারি হাসপাতালের বিল মেটাতে না পারায় ছাড়া হয়নি দেহ। অবশেষে তৃণমূল বিধায়কের হস্তক্ষেপে সোমবার একাদশ শ্রেণির ছাত্রর কফিনবন্দি দেহ ফিরল অশোকনগরের বাড়িতে। মৃতের নাম প্রিন্স সেনচৌধুরী (১৬)। সে ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্র। বাড়ি অশোকনগরের আট নম্বর ওয়ার্ডে।

    জানা গিয়েছে, প্রিন্সের বাবা প্রশান্ত সেনচৌধুরী অনলাইনে শেয়ার মার্কেটিংয়ের ব্যবসা করেন। কোভিডের পরবর্তী সময়েই ওই ছাত্র আক্রান্ত হয়েছিল হার্টের জটিল রোগে। পরিবারের লোকজন প্রিন্সকে নিয়ে যান বেঙ্গালুরুর এক নামী নার্সিংহোমে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন ১ আগস্ট মৃত্যু হয় প্রিন্সের। তার চিকিৎসায় খরচ হয়েছিল ২২ লক্ষ টাকা। ১৫ লক্ষ টাকা বিল মেটাতে পেরেছিল পরিবার। বকেয়া ছিল সাত লক্ষ টাকা। সেই টাকা দিতে না পারায় মৃত্যুর ৭২ ঘণ্টার পরেও ছেলের দেহ পায়নি পরিবার। ফলে, ছেলের দেহ বাড়ি ফেরানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবার।বিষয়টি জানার পর বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে দেহটি বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। প্রিন্সের বাবা বলেন, টাকার জন্য দেহ দেয়নি হাসপাতাল। বিধায়কের উদ্যোগে মৃত ছেলের দেহ বাড়ি আনা গেল। আর বিধায়ক নারায়ণবাবু বলেন, আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রিন্সের দেহ 

    আনানো হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)