সিপিআর থেকে ব্যান্ডেজ, শতাধিক ট্রাফিক পুলিসকর্মীকে প্রশিক্ষণ
বর্তমান | ০৫ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: রাস্তায় হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে। পথচলতি বহু মানুষ মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিসকর্মীরা। তাই দুর্ঘটনায় জখম হওয়া কিংবা রাস্তায় অসুস্থদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল বিধাননগর কমিশনারেট।
সিপিআর দেওয়া থেকে ব্যান্ডেজ বাঁধার কৌশল সহ প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত একগুচ্ছ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল বিধাননগরের শতাধিক ট্রাফিক পুলিসকে। দু’দফায় মোট ১২০ জন এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে ট্রাফিকের আরও কর্মীকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বিধাননগর কমিশনারেটের অধীনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভিআইপি রোড। এই রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও, নিউটাউনের রাস্তায় এখন দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। কমিশনারেটের দাবি, রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিসকর্মীরাই ফার্স্ট রেসপন্ডার। অর্থাৎ, তাঁরাই প্রথম পদক্ষেপ নেন। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে জখম ও অসুস্থদের চিকিৎসায় সুবিধা হবে। কিছুদিন আগে ৬০ জনের একটি টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি, দ্বিতীয় দফায় বিধাননগরে আরও ৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। রোটারি ক্লাবের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সেখানে বিধাননগরের ডিসি ট্রাফিক নিমা নরবু ভুটিয়া সহ পদস্থ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিপিআর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে মানুষকে বাঁচানো সম্ভব। হাতে কলমে সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিসি ট্রাফিক নিমা নরবু ভুটিয়া বলেন, ট্রাফিক পুলিস কর্মীরা রাস্তায় সর্বক্ষণ থাকেন। দুর্ঘটনা হলে কিংবা কেউ অসুস্থ হলে আমাদের কর্মীরাই তাঁদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাই তাঁরা যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন, তার জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশেষ ক্ষেত্রে রোগীদের হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁদের আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কীভাবে দ্রুত ভর্তির ব্যবস্থা করতে হয়, সেই প্রক্রিয়াও দেখানো হয়। এতে সময় নষ্ট হবে না।