• উন্নয়নের পাশাপাশি নানা প্রকল্পের সুবিধা দিতে তৎপর ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি
    বর্তমান | ০৫ আগস্ট ২০২৫
  • সমীর মাহাত, ঝাড়গ্রাম:

    এলাকায় উন্নয়নে জোয়ার আনতে জোরকদমে কাজ করছে ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি। রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র সহ নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা মানুষকে পাইয়ে দিতে তৃণমূল পরিচালিত এই পঞ্চায়েত সমিতি তৎপর। সেইসঙ্গে এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নতি, পানীয় জল সরবরাহ,  কমিউনিটি হল তৈরির মতো কাজ করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের আর্থিক উন্নয়নেও পঞ্চায়েত সমিতি উদ্যোগী হয়েছে। তাঁদের হাঁসমুরগি, ছাগল দেওয়া, ত্রাণবিভাগ থেকে অসহায় মানুষকে নানা সামগ্রী বিলি, পর্যটকদের জন্য হোম স্টে তৈরির মতো কাজেও পঞ্চায়েত সমিতি এগিয়ে এসেছে।

    এবিষয়ে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত সাহা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত উন্নয়নমুখী প্রকল্প মানুষকে পাইয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য আমাদের প্রতিনিধিরা সবসময় তাঁদের পাশে রয়েছেন। 

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ৩২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এককভাবে ২৫টিতে জয়ী হয়। বোর্ড গঠনের পর শুরু হয়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। ঝাড়গ্রাম ব্লকের ১১টি জায়গায় পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি হবে। ব্লকের ২৮টি জায়গায় ১৮৬.৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে তৈরি ঢালাই ও কংক্রিটের রাস্তা, সাবমার্সিবল পাম্প, কমিউনিটি সেন্টার প্রভৃতি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।

    ঝাড়গ্রাম ব্লকে নতুন কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ২১০০জন কৃষক সর্বনিম্ন ৪০০টাকা ও সর্বাধিক ১০হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। ব্লকে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড করে ৬৭জন পড়ুয়া অর্থসাহায্য পাচ্ছেন। গত অর্থবর্ষে ৮২৮টি তপশিলি জাতি, ৫৫৮টি তপশিলি উপজাতি ও ৪২৫টি ওবিসি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন ৪৪ হাজার ২৫৫জন। ১০ হাজার ১৯৩জন বার্ধক্য ভাতা ও ৪৪৭২জন বিধবা ভাতা পাচ্ছেন। ঝাড়গ্রামে আসা পর্যটকদের সুবিধার জন্য লোধাশুলিতে ৪৩লক্ষ টাকা ব্যয়ে হোমস্টে তৈরি হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)