• শালবনীতে বাজ পড়ে মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের পাশে দলের জেলা নেতৃত্ব
    বর্তমান | ০৫ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শালবনী: শালবনীর দেউলকুণ্ডা গ্রামে চাষের জমিতে বাজ পড়ে রামু সরেন(৫১) নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়াল মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার স্থানীয় বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা মৃতের বাড়িতে যান। ওই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়।

    বিধায়কের সঙ্গে শালবনী ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি সুব্রত সানি, ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি গৌতম বেরা, কাশিজোড়া অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মণ হেমব্রম সহ স্থানীয় নেতারা মৃত কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন।

    রবিবার রামু সরেন পারাং নদীর ধারে চাষের কাজে গিয়েছিলেন। আচমকা বৃষ্টি নামলে তিনি ও চার গ্রামবাসী বাড়ি ফিরতে উদ্যত হন। সেসময় আচমকা বাজ পড়লে রামুবাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বাকি চারজন প্রচণ্ড আওয়াজে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁদের উদ্ধার করে শালবনী সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে রামু সোরেনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাকি চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

    এদিন সুজয় হাজরা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা একজন তৃণমূল কর্মীকে হারালাম। তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ রয়েছে, একজনও কর্মী বা তাঁর পরিবার যেন সমস্যায় না থাকে, সেদিকে সবসময় নজর দিতে হবে।

    দলের নেত্রীর নির্দেশ অনুসারে কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। একজন কর্মীও সমস্যায় পড়লে শাসকদলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা সহ জেলার নেতাকর্মীরা তাঁর পাশে দাঁড়ান। তৃণমূল নেতারা জানান, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলায় দলের সংগঠন বৃদ্ধি পেয়েছে। একের পর এক নির্বাচনে বিপুল জয়ই তার প্রমাণ। জেলা নেতৃত্বের তরফে একের পর এক কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলায় ভাষা আন্দোলনে তৃণমূল নেতাকর্মীরা পথে নেমেছেন।

    শাসকদলের নেতৃত্ব জানান, দলের উদ্যোগে নানা সমাজসেবামূলক কাজ করা হয়। রক্তদান, বস্ত্রদান শিবির আয়োজিত হয়। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশেও তাঁরা থাকেন। জেলা সভাপতি সুজয়বাবু মৃত রামু সরেনের পরিবারকে সহযোগিতা করলেন। মানুষের পাশে থাকাই দলের নেতাদের প্রধান কর্তব্য।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)