হীরাপুরে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন: দোষী সাব্যস্ত বাবা
বর্তমান | ০৫ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: হীরাপুর থানার নরসিংবাঁধে মাংসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে মেয়েকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করল আসানসোল আদালত। ঘটনার এক বছর আড়াই মাস পর সোমবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মামলায় ১৬জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, ন্যক্কারজনক অপরাধে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। ২০২৪ সালের ১৩মে সকালে ওই কিশোরী হত্যাকাণ্ড সামনে আসে। তার মায়ের আর্তনাদে ঘুম ভাঙে পাড়া-প্রতিবেশীর। বিছানায় পড়েছিল বছর ১৫-র ওই নাবালিকা। তার গলায় দাগ ছিল। তার নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তাকে মা হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও বাধা দিচ্ছিল। প্রতিবেশীরাই জোর করে ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতার মায়ের অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার তদন্ত যত এগিয়েছে হত্যাকাণ্ডের বীভৎসতা সামনে এসেছে। ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই কিশোরীকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়। তারপর দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২মে রাতে মুন্না মাংস কিনে আনে। অন্যান্য দিন ওই কিশোরী মাংস রান্না করত। ওইদিন মুন্নাই রান্না করবে বলে জানায়। মা ও মেয়ে আপত্তি জানালেও শোনেনি সে। মুন্না নিজের জন্য কিছুটা মাংস তুলে রেখে বাকি মাংসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়।