• পুনর্ভবায় আগের মতো মিলছে না মাছ, চিন্তা বাড়ছে হবিবপুরের কলাইবাড়ির মৎস্যজীবীদের
    বর্তমান | ০৫ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হবিবপুর: বর্ষায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পুনর্ভবা নদীতে জল বাড়লেও নেই মাছের আমদানি। একটা সময় এই নদীর মাছ ধরে বিক্রি করে প্রায় চারশো মৎস্যজীবীর সংসার চলত। কয়েক বছর ধরে নদীতে মাছ না পেয়ে পরিবারের মুখে খাবার জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। ফলে হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুনর্ভবা নদী সংলগ্ন কলাইবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সংসারে অভাবের কারণে ইতিমধ্যে তাঁদের অনেকে পেশা বদল করেছেন। আবার রুটিরুজির জন্য পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকে। 

    এনিয়ে হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুখীরানি সাহা বলেন, পুনর্ভবা নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। কীভাবে পুনরায় নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

    মৎস্যজীবীরা বলেন, পুনর্ভবা নদীর এই অংশটি মহানন্দায় মিশে সরাসরি বাংলাদেশের পদ্মার সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণে একটা সময় প্রচুর ইলিশ সহ সুস্বাদু মাছ চলে আসত এখানে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদী তার নাব্যতা হারিয়েছে। গভীরতাও কমেছে অনেক। তাই আগের তুলনায় অনেক কম মাছ আসছে। সেভাবে মাছ না পাওয়ায় আমরা হতাশ। তবে, নদী খনন করে নাব্যতা ফেরালে আবার আগের মতো প্রচুর মাছের আমদানি হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করছি।

    মৎস্যজীবী মনজিত হালদার বলেন, বর্ষায় নদীতে একেবারেই মাছ পাওয়া যায় না। বিভিন্ন জায়গায় পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এখন সব ছেড়ে বাজারে সব্জির ব্যবসা করি। 

    এলাকার শিক্ষক ধনঞ্জয় ঘোষের কথায়, গত দু’বছর ধরে খরার সময় নদীর জল শুকিয়ে যাচ্ছে। বহু মৎস্যজীবী গ্রাম ছেড়ে অন্য কাজের সন্ধানে চলে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব।
  • Link to this news (বর্তমান)