নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: কেন্দ্রের অর্থনৈতিক অবরোধ অব্যাহত। একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ অমিল। এমন প্রেক্ষাপটে তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। সোমবার তারা মহকুমা পরিষদ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। এই আন্দোলনকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন সভাধিপতি অরুণ ঘোষ। একইসঙ্গে তিনি উন্নয়ন নিয়ে ক্যামেরার সামনে বিতর্ক আলোচনায় বসার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতাকে। সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় রাজনীতি সরগরম।
দু’দিন আগে মহকুমা পরিষদের অর্থ স্থায়ী সমিতির বৈঠক হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই সভা বিকেল ৪টেয় হওয়ার কথা ছিল। আচমকা সভার সময় সূচি পরিবর্তন করে দুপুর ১টা করা হয়। সভার সময়সূচি পরিবর্তনের বিষয়টি বিরোধী দলনেতা বিজেপির অজয় ওরাওঁকে জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। এরপরই বিরোধী দলনেতা পরিষদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। এজন্য এদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সুইমিংপুলের সামনে জমায়েত করে বিজেপি। সেখান থেকে বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে তারা মিছিল করে পরিষদ ভবনের সামনে যায়। জোর করে মহকুমা পরিষদে প্রবেশের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এনিয়ে বাধা দেন পুলিস কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে বচসা বাঁধে বিজেপি কর্মীদের। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
সেখান থেকে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল মহকুমা পরিষদে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। পরিষদের বিরোধী দলনেতা বলেন, মূলত অনিয়মের উদ্দেশ্যেই সকলকে অন্ধকারে রেখে মহকুমা পরিষদ পরিচালনা করছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, আমি আদিবাসী সম্প্রদায় হওয়ায় আমাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এলাকার উন্নয়নে চাহিদামতো অর্থ আমার এলাকার বরাদ্দও করা হচ্ছে না। এসবের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে নেমেছি। এরপরও অবস্থার পরিবর্তন না হলে জোরদার আন্দোলন হবে।
পাল্টা উন্নয়ন নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন সভাধিপতি। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করছে না। সেই অর্থ আনার ব্যাপারে বিরোধী দলনেতার কোনও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু নিয়ম মেনেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করা হচ্ছে।
যারজন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ কমিশনের টাকা বরাদ্দ করছে। তাই এ বিষয়ে ভিডিও ক্যামেরার সামনে বিতর্ক আলোচনায় বসার জন্য বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। আর অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিংয়ের সময়সূচি বদলের খবর সকলকে জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতা ছাড়া অধিকাংশই সভায় এসেছেন। কাজেই ওঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর আমরই গুরুত্ব দিই আদিবাসীদের। বর্তমান বোর্ডে তৃণমূলের আটজন সদস্যর মধ্যে তিনজনই আদিবাসী। সুতরাং, বিরোধী দলনেতা হাঙ্গামা পাকানোর উদ্দেশ্যে আবলতাবল বকছেন।