‘ওটিটি’ আসায় মার খাচ্ছে বাংলা ছবি? আমেরিকায় ‘ডিয়ার মা’ মুক্তির আগে কী বললেন পরিবেশক রুবনা এবং রাজ
আনন্দবাজার | ০৪ আগস্ট ২০২৫
‘রক্তের সম্পর্ক, না কি ভালবাসার টান’— কোনটা আগে? পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন ছবি ‘ডিয়ার মা’ উস্কে দিয়েছে অনেক প্রশ্ন। বৃন্দা, ঝিমলি আর অর্কর কাহিনি পর্দায় আসতেই প্রশংসিত দর্শক মহলে। এ বার সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে এই গল্প দেখবেন নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, ভার্জিনিয়া-সহ আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য এবং শহরের মানুষ। অনিরুদ্ধর গল্প প্রবাসী বাঙালিদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ‘বায়োস্কোপ ফিল্মস্’-এর কর্ণধার নওশাবা রুবনা রশীদ এবং রাজ হামিদ। একজন পেশায় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার, অন্যজন পেশায় চিকিৎসক। দুই বাংলার ছবি প্রবাসী বাঙালিদের কাছে পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের উদ্দেশ্য। আগামী ৮ অগস্ট নিউ ইয়র্কে বিশেষ প্রদর্শনী হবে ‘ডিয়ার মা’ ছবির। বিদেশের বাঙালিদের বাংলা ছবি দেখানোর দায়িত্ব কেন নিলেন তাঁরা? কলকাতার বাংলা ছবি নিয়ে আদৌ কি উৎসাহ আছে দর্শকের?
রুবনা এবং রাজ দু’জনেরই দাবি, বাংলা ছবি দেখার জন্য দর্শক মুখিয়ে থাকেন। নিউ ইয়র্কে প্রচুর বাঙালির বাস। অনেকে রীতিমতো প্রশ্ন করেন, তাঁদের কবে দেখানো হবে বাংলা সিনেমা। ২০১৭ সালে নিজেদের সংস্থা তৈরি করেন তাঁরা। অন্য পেশার মানুষ হলেও বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখা তাঁদের নেশা। তাঁরা বললেন, “কলকাতায় বা দেশে যাঁরা থাকেন তাঁরা হয়তো তেমনই ছবি দেখেন যা নিয়ে আলোচনা বেশি। কিন্তু আমরা যাঁরা বিদেশে থাকি তাঁরা খুব মিস্ করি নিজেদের সংস্কৃতি, গান, নাচ, বাংলা ছবি। এক সময়ে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বছরে একটা বাংলা ছবি দেখতে পেতাম। সাত বছর লেগেছে এই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করতে।”
তবে তাঁদের মতে, কোনও ছবি মুক্তি পাওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই যদি সেই ছবি ওয়েব প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচারিত হওয়া শুরু হয় তা হলে থিয়েটারে গিয়ে সেই ছবি দেখার ইচ্ছা কমে যায় অনেকেরই। রুবনা এবং রাজ বললেন, “আমরা বলি, যে ছবি থিয়েটারে দেখানো হবে সেই ছবি অন্তত তিন মাসের মধ্যে যেন ওয়েব প্ল্যাটফর্মে না দেখা যায়।” ইতিমধ্যেই আমেরিকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন পরিচালক অনিরুদ্ধ। তিনি বললেন, “বাংলা ছবি এই ভাবেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে আরও বেশি ছবি বানানোর ইচ্ছা তৈরি হয়েছে। বছরে অন্তত দু’টো ছবি করবই।” জয়া আহসান এবং চন্দন রায় সান্যাল অভিনীত এই ছবির গল্প প্রসঙ্গে পরিবেশকদ্বয় বললেন, “এমন একটা বিষয় নিয়ে অনিরুদ্ধদা (রায়চৌধুরী) ছবি তৈরি করেছেন যে শুধু বাঙালি নয়, অন্য ভাষার মানুষও বুঝতে পারবেন।” নিউ ইয়র্কের বিশেষ প্রদর্শনীর পর ক্যালিফোর্নিয়াতেও হবে বিশেষ প্রদর্শনী।