কোন্নগরের তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী খুনে জমি কারবারকে অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। এবার এই খুনের ঘটনায় অন্যতম চক্রী ধৃত ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘার দাবি পুলিশের সেই অনুমানকেই নিশ্চিত করছে। সোমবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানোর সময় বাঘা দাবি করেন, ‘পিন্টু আর আচ্ছালাল হল জমি-হাঙর। তাঁরা অন্যের জমি লুট করে খায়।’ আচ্ছালাল যাদব হলেন কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান। তাঁর সঙ্গে পিন্টুর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
গত বুধবার হুগলির নিজের দোকানের সামনে খুন হন কানাইপুরের পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু ওরফে মুন্না। এই ঘটনায় পুলিশ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে দুই জন ভাড়াটে খুনি। বাকি দুই জন বাঘা ও বিশার পরিকল্পনাতেই পিন্টুকে খুন করা হয়েছে। তাঁরা সম্পর্কে দুই ভাই। পুলিশের অনুমান, মোট তিন লক্ষ টাকা দিয়ে দুই জন ভাড়াটে খুনি আনা হয়েছিল। বিশার হাত দিয়ে সেই টাকা খুনিদের কাছে পৌঁছে দেন বাঘা। কয়েকদিন আগে বিশা সহ দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে বাঘাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। সেই সময় তিনি দুই তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে জমি লুট করার অভিযোগ তুলেছেন।
জানা গিয়েছে, আচ্ছালাল ও পিন্টু দুই জন একসঙ্গে কাজ করতেন। তাঁদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান ছিলেন আচ্ছালাল। বাঘার মুখে নিজের নাম শুনে তিনি দাবি করেছেন, অন্য কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করতেই তাঁর নাম নেওয়া হয়েছে। পিন্টুকে খুনের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও জমি কারবারে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আচ্ছালাল।