মায়ের হাতের পায়েস আর লুচি খাওয়া হল না, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল যুবকের
বর্তমান | ০৫ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: মা পায়েস আর লুচি বানিয়ে রেখো। আমি লটারি বিক্রি করে এসে খাব। এই কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরা হল না পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী সন্তানের। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির অসম মোড় সংলগ্ন এলাকায় টিকিট বিক্রি করতে গিয়ে ঘটল দুর্ঘটনা। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ময়নাগুড়ি দক্ষিণ মৌয়ামারি এলাকার প্রবীর পাল(৩৫) নামের ওই যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে আজ, সোমবার সকালে ময়নাগুড়ির অসম মোড় সংলগ্ন বাইপাস এলাকায়। এই দুর্ঘটনার খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়নাগুড়িজুড়ে। পুলিস জানিয়েছে , রাস্তার এক দিক থেকে অন্য দিকে যাওয়ার পথে একটি শিলিগুড়িগামী বেসরকারি বাস ওই যুবককে ধাক্কা মারে। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস ঘাতক গাড়িটি আটক করেছে। সেই সঙ্গে গাড়ির চালককেও আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এক মাত্র ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধা মা। প্রবীর পাল, বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গেই বাড়িতে থাকতেন। তিনি টিকিট বিক্রি করে সংসার চালাতেন। আজ, সোমবারও তিনি টিকিট নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে অসম মোড় সংলগ্ন এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, তিনি যখন রাস্তার এক দিক থেকে অন্য দিকে বাড়ি ফেরার জন্য যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে একটি বেসরকারি বাস তাকে ধাক্কা মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান প্রবীর। বিষয়টি দেখে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিসও। আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় প্রবীরের। এই বিষয়ে মৃতের মা রিতা পাল বলেন, আমার মৃত্যু হল না কেনো। ছেলে চলে গেলো, আমার আর কেউ থাকল না। প্রায় দশ বছর আগে স্বামী মারা গিয়েছে। আমার বেঁচে থেকে কি লাভ। ছেলে বলেছিল পায়েস করে রাখতে।