‘জমি-হাঙর পিন্টু আমার জমি লুট করেছিল’, আদালতে যাওয়ার পথে অভিযোগ তৃণমূল নেতা খুনে ধৃতের
আনন্দবাজার | ০৪ আগস্ট ২০২৫
তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী খুনে ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘার দাবি, খুন হওয়া পঞ্চায়েত সদস্য অন্যের জমি দখল করে নিতেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন আর এক তৃণমূল নেতা। সেই রোষেই কি তাঁরা খুন করেছেন? জবাব দেননি একদা হুব্বা শ্যামলের প্রতিদ্বন্দ্বী বাঘা।
হুগলির কানাইপুরের পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু ওরফে মুন্না খুন হন গত বুধবার। পুলিশ মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের দু’জন ভাড়াটে খুনে এবং দু’জন সহোদর। বাঘার ভাই তথা পিন্টুর বন্ধু বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা খুনের সুপারি দেন বলে পুলিশের অনুমান। মোট ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে দুই ভাড়াটে খুনি আনা হয়েছিল। সোমবার ধৃত বাঘাকে হাজির করানো হয় শ্রীরামপুর আদালতে। সেখানেই দুই তৃণমূল নেতার নাম করে জমি ‘লুটের’ অভিযোগ করেন তিনি।
পিন্টুর খুনের তদন্তে আগেই জমি কারবারকে ‘অন্যতম কারণ’ বলে জানিয়েছেন চন্দনগর পুলিশ কমিশনারেটের তদন্তকারীরা। তৃণমূল নেতা খুনে ‘মূল চক্রী’ বলা হচ্ছে বাঘা এবং বিশাকে। পুলিশ এখন দাবি করেছে, পিন্টুকে খুন করার জন্য তিন লক্ষ টাকা দেন ‘কুখ্যাত’ বাঘা। সেই টাকা বিশার হাত থেকে নিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার শাসন ও বারাসতের দুই দুষ্কৃতী। দু’দিন আগে বিশা-সহ দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার বিশার আট দিনের এবং দুই ভাড়াটে খুনি বিশ্বজিৎ প্রামাণিক ও দীপক মণ্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। অন্য দিকে, বাঘাকে পাকড়াও করা হয়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে। সোমবার আদালতে যাওয়ার পথে পিন্টুর খুন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাঘা বলেন, ‘‘পিন্টু আর আচ্ছালাল হল জমি-হাঙর। ওরা অন্যের জমি লুট করে খায়।’’
আচ্ছালাল যাদব কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান।পিন্টু ছিলেন ওই পঞ্চায়েতের সদস্য। তারা দুজন এক সঙ্গে কাজ করেছেন। বাঘার মুখে তাঁর নাম শোনার পর আচ্ছালাল বলেন,‘‘পিন্টুর সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। পুলিশের হেফাজতে থেকে ও (বাঘা) নাম নিচ্ছে। অন্য কাউকে আড়াল করার চেষ্টা নয় তো?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পিন্টু খুনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। দরকারে সিবিআই তদন্ত হোক।’’ পাশাপাশি তাঁর দাবি, জমি কারবারে বাঘা কিংবা মুন্নার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক কোনও দিনই ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলাম, তখন বাঘার মতো দুষ্কৃতীদের এলাকায় ঢুকতে দিইনি।’’