• উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রের হাতে থাকা চার চা বাগানের শ্রমিকদের পিএফ বাবদ বকেয়া ৯ কোটির বেশি, সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
    আনন্দবাজার | ০৪ আগস্ট ২০২৫
  • উত্তরবঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন চারটি চা বাগানের শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে (পিএফ) বকেয়া রয়ে গিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভুপতিরাজু শ্রীনিবাস বর্মা যে জবাব দিয়েছেন, তাতেই এমন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তৃণমূল সংসদীয় দলের দাবি, ২০২৩ সাল থেকে ৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকার পিএফ বাবদ বকেয়া রয়েছে ওই চারটি চা বাগানের শ্রমিকদের।

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্প মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে উত্তরবঙ্গের চারটি চা বাগান। কারবালা, বানারহাট, চুনাভুট্টি ও নিউ ডুয়ার্স চা বাগানের দায়িত্ব কেন্দ্রের। এই চা বাগানগুলিতে কাজ করা শ্রমিকদের মজুরি থেকে শুরু করে পিএফ, সবকিছুর দায়িত্বে কেন্দ্রীয় সরকার। ঋতব্রতের প্রশ্ন ছিল, আমরা জেনেছি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় সরকারে অধীনস্থ চারটি চা বাগানের শ্রমিকদের পিএফের টাকা দীর্ঘদিন ধরে জমা দেওয়া হয়নি। এ কথা কি সত্যি? এ কথা সত্যি হলে, বকেয়া পিএফের অর্থের পরিমাণ কত?

    জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কারবালা চা বাগানের ক্ষেত্রে বকেয়ার পরিমাণ ২.৯৪ কোটি টাকা, নিউ ডুয়ার্স চা বাগানে ২.৮১ কোটি, বানারহাটের ক্ষেত্রে বকেয়ার পরিমাণ ২.২৯ কোটি এবং চুনাভাট্টি চা বাগানের ক্ষেত্রে এই বকেয়া ১.৭৭ কোটি টাকা। এই চারটি চা বাগান মিলিয়ে মোট বকেয়ার পরিমাণ ৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বলেন, “আমাকে চা বাগানের শ্রমিকেরা জানিয়েছিলেন, তাদের পিএফের টাকা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে জমা পড়ছে না। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আমি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। পিএফ জমা না হওয়া একটি অপরাধ। প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। তাঁর পারিষদেরাও আরও বড় বড় কথা বলছেন। বড় বড় কথা না বলে শ্রমিকদের হকের টাকা দিতে হবে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)