সন্দেশখালির ৩ খুনে CBI তদন্তের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও, বিপাকে শেখ শাহজাহান
প্রতিদিন | ০৪ আগস্ট ২০২৫
গোবিন্দ রায়: সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই আরও বিপাকে সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহান। কারণ, তিন বিজেপি নেতা খুনে নাম জড়িয়েছিল তাঁর।
জানা গিয়েছে. ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়ায় রাজনৈতিক অশান্তি চলছিল। ৮ জুন সেই আবহে সন্দেশখালিতে একই পরিবারের দুই বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগ ওঠে। এখনও পর্যন্ত ওই পরিবারের একজন নিখোঁজ। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগ, দুই বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলকে গুলি করে খুন করা হয়। মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হয় কায়ুম আলি মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীরও। অপর দিকে, বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্য দেবদাস মণ্ডল নিখোঁজ রয়েছেন। সে সময় মৃতদের পরিবারের তরফে ন্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শেখ শাজাহানের নাম থাকলেও, পরে যখন মামলা সিআইডি হাতে নেয় এবং আদালতে চার্জশিট পেশ হয়, তখন দেখা যায় শাহজাহানের নামই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার চার বছর পর সিবিআই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেন মৃতার স্ত্রী পদ্মা মণ্ডল। সেই মামলাতেই গত ৩০ জুন, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। শেখ শাহজাহান বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তাকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। ঠিক সেভাবেই তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, গত বছরের গোড়ায় তদন্তে সন্দেশখালিতে যাওয়ার ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িয়ে যায় জেলা পরিষদের তৎকালীন কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্যবসায়ী শেখ শাহজাহানের নাম। দীর্ঘ ৫৪ দিন পর পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি। পরবর্তীকে সিবিআই এবং ইডি – দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাই শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে। রেশন দুর্নীতি মামলায় এই মুহূর্তে জেলবন্দি শাহজাহান।