শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কিতে ভারত–নেপাল সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে এসএসবি–র জওয়ানরা। নেপাল হয়ে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ধৃত দুই যুবক। কিন্তু দালালরা তাঁদের টাকাপয়সা ও পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেই কারণে ফের ভারত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই দুই যুবক। গতকাল শনিবার এসএসবি জওয়ানদের হাতে পাকড়াও হন তাঁরা।
ধৃতদের নাম মহম্মদ নূর হোসেন খন্দকর ও মহম্মদ ওমর ফারুক আরমান। নূর হোসেনের বাড়ি বাংলাদেশের ফেনী জেলায়। ওমর ফারুকের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিমারা এলাকায়। শনিবার রাতে সীমান্ত দিয়ে তাঁরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এসএসবির জওয়ানরা। তাঁদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন, নেপাল ও বাংলাদেশের ২টি সিম কার্ড, কিছু নেপালি মুদ্রা, একটি বাংলাদেশি প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র ও বাংলাদেশের পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, নূর হোসেন খন্দকর রোমানিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে রওনা দিয়েছিলেন। দালালের মাধ্যমে প্রথমে তিনি সিলেট-ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর নেপালে যান। নেপালের এক দালাল তাঁর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েও তাঁকে রোমানিয়ায় পৌঁছে দেননি। উল্টে তিনি পাসপোর্ট ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। অন্যদিকে, ওমর ফারুক আরমান ফ্রান্সে যেতে চেয়েছিলেন। এর জন্য তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে দালালের মাধ্যমে নেপালের কাঠমাণ্ডুতে পৌঁছন। তাঁর থেকেও ২০ লক্ষ টাকা নিয়েও দালাল তাঁকে ফ্রান্সে পৌঁছে দিতে পারেননি। পাশাপাশি তাঁর পাসপোর্টও নিয়ে নেওয়া হয়। দালালদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে নেপালেই আপাল হয় নূর হোসেন ও ফারুকের। আর এক দালালের সাহায্য নিয়ে তাঁরা বাংলাদেশে ফেরার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো তাঁরা নেপাল থেকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সেই সময়ই জওয়ানরা তাঁদের গ্রেপ্তার করে।