• ‘ঝাড়খণ্ডের ইতিহাসের একটি অধ্যায় সমাপ্ত’, শিবুর মৃত্যুতে মমতা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৪ আগস্ট ২০২৫
  • ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রধান শিবু সোরেনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার আদিবাসী ভাইবোনদের গুরু দিশোম (মহান নেতা) শিবু সোরেনের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি তাঁকে খুবই শ্রদ্ধা করতাম। ঝাড়খণ্ডের ইতিহাসের একটি অধ্যায় আজ শেষ হল।’

    সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রধান শিবু সোরেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর পুত্র তথা ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে বাবার মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেছেন তিনি। বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন শিবু সোরেন। মনমোহন সিংয়ের জমানায় কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা।

    ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে প্রথম থেকে ‘গুরুজি’ নামেই পরিচিত ছিলেন শিবু। মূলত তাঁর আন্দোলনেই ২০০০ সালে বিহার ভেঙে আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি পায় ঝাড়খণ্ড। ২০০৫ সালে প্রথমবারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন শিবু। সেবার অবশ্য মাত্র ১০ দিন এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এবং ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শিবু সোরেন।

    গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে দিল্লির গঙ্গা রাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় শিবু সোরেনকে। তারপর থেকে হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। মাস দেড়েক আগে তাঁর স্ট্রোক হয়েছিল। গত এক মাস ধরে শিবুকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে শিবু সোরেনের মৃত্যু হয়েছে। বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে তাঁর ছেলে হেমন্ত সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিশোম গুরুজি আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আজ আমি শূন্য হয়ে গেলাম।’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে ঝাড়খণ্ডজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)