পদ ফিরতেই কেষ্টর কামব্যাক, 'SP ঘুমোচ্ছিলেন?' সেই পুলিশকেই নিশানা অনুব্রতর
আজ তক | ০৪ আগস্ট ২০২৫
পদ ফিরতেই স্বমহিমায় কেষ্ট। 'মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগানো হল, এসপি কি ঘুমোচ্ছিলেন?' পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ অনুব্রত মণ্ডলের। মাসখানেক আগেই ভাইরাল অডিও কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কেষ্ট(যদিও তিনি সেটি AI বলে দাবি করেছিলেন)। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পুরনো মেজাজে কামব্যাক। রবিবার বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ সিংয়ের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, 'এই এসপির আমলে তৃণমূল নেতার মৃত্যু হচ্ছে। মেয়েরা নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে।' প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শেষে সিউড়িতে একটি বেহাল সেতুর জন্য প্রতিবাদে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা, কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কিছু পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগানো হয়।
সেই প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, 'সিউড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই নিন্দনীয়৷ আমরা দীর্ঘদিন বিরোধী রাজনীতি করেছি ৷ জ্যোতিবাবুর আমলে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আমলে । কিন্তু, কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কালি লাগাইনি৷ এটা আমাদের শিক্ষা না৷ আজ কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আছে, তাদের কোনও লিডারের মুখে আমরা কালি লাগাই না। এটা কোনও ভদ্রতা নয়।'
এরপরেই বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিংকে নিশানা করেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, 'বীরভূম জেলায় এই ধরনের কালচার ছিল না ৷ এই এসপি আসার পর এই কালচারগুলো হয়েছে । আগে কোনও এসপি থাকাকালীন নোংরামির ঘটনা হত না ৷'
একইসঙ্গে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন অনুব্রত। বলেন, 'এই এসপি আসার পর তিনজন মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। দু’জন তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে৷ সব কিছু হচ্ছে এই এসপির আমলে৷ যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কালি লাগানো হয়েছে, সেখান থেকে এসপি অফিস মাত্র হাত বিশেক দূরে। উনি কি ঘুমাচ্ছিলেন? ওঁর ডিআইবির রিপোর্ট নেই? খবর নেই? এটা মানা যায় নাকি?'
উল্লেখ্য গত ২৭ থেকে ২৯ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম সফরে গিয়েছিলেন। এরপরই পদ ফিরে পান কেষ্ট ৷ তাঁকে দলের বীরভূম জেলার কোর কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। পাশাপাশি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তাও। এরপরই ফের পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন অনুব্রত। এই ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল হবে বলেও জানান তিনি।