সবে আগুন লেগেছে। আগুন নেভাতে ফোন করা হচ্ছে দমকলের নম্বরে। কিন্তু ১০১ ডায়ালে একাধিক বার ফোন করলেও রিং হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে পুলিশের ১০০ ডায়ালে ফোন করে আগুন লাগার খবর জানাতে হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ উঠছে। ফলে, দমকলকে খবর দিতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ।
বিপদের সময়ে সাধারণত ১০১ ডায়াল করে দমকলে খবর দেওয়া হয়। এটাই দমকলের জরুরি পরিষেবার নম্বর। কিন্তু ওই নম্বরে একাধিক বার ফোন করেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দফায় দফায় ১০১ ডায়ালে মিনিট ২০ ধরে প্রায় ২০ বার ফোন করলেও রিং হয়ে যায়। দমকলের সদর দফতর, ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা চিফ মবিলাইজ়িং অফিসার (সিএমও) নিজের নাম গোপন রেখে বলেন, ‘‘বিএসএনএল-এর সমস্যা বহু দিনের। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’ কিন্তু দমকলের মতো জরুরি পরিষেবার কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বরে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুততার সঙ্গে তা ঠিক করার কথা তো? তা হলে দেরি কেন? সদুত্তর দেননি ওই আধিকারিক।
দমকলের সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের আরও তিনটি ফোন নম্বর রয়েছে (০৩৩-২২৫২১১৬৫/২২৫২৬১৬৪ এবং ০৩৩-২২২৭৬৬৬৬)। সবগুলিরই এক অবস্থা। গত কয়েক দিন ধরে ০৩৩-২২৫২১১৬৫ নম্বরে ফোন করলেও কখনও ফোন বেজে যাচ্ছে, কখনও এক বার হ্যালো বলতেই কেটে যাচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় ০৩৩-২২২৭৬৬৬৬ নম্বরে একাধিক বার ডায়াল করায় ফোন ধরেন এক ব্যক্তি। কন্ট্রোল রুমের ফোনের এই অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তিন মাস ধরে কন্ট্রোল রুমের সংস্কার চলছে। হয়তো তাই এমন হচ্ছে।’’ কিন্তু তাতে ফোনের সমস্যা কেন হবে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘এত কথার জবাব দিতে পারব না।’’
এ বিষয়ে দমকলের ডিজি রণবীর কুমারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। মেসেজ করা হলেও উত্তর মেলেনি।