ভোটার তালিকা সংশোধনের ‘গোলমাল’ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের আবহে গত লোকসভা ভোটের আগে তৈরি পশ্চিমবঙ্গের চূড়ান্ত তালিকা মেলে ধরল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত পশ্চিমবঙ্গের চূড়ান্ত তালিকা তৃণমূল-সহ এ রাজ্যের সব দল মেনে নিয়েছিল।
যোগ্য ভোটার বাদ যাওয়া এবং ভুয়ো ভোটার ঢোকানোকে কেন্দ্র করে কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখন শোনা যাচ্ছে মহারাষ্ট্র থেকে পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের তথ্য প্রকাশ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কিন্তু দাবি, সংশোধন প্রক্রিয়ার আগে জেলা ধরে ধরে খসড়া তালিকা ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর সব রাজনৈতিক দলকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তৃণমূল-সহ সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দল কমিশনকে আবেদন-আপত্তি জানায়। তার ভিত্তিতেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হয়। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নিয়ে আর অভিযোগ ওঠেনি। সেই তালিকা ধরেই লোকসভা ভোটও হয়।
প্রসঙ্গত, সেই ভোটে ২০১৯ সালের তুলনায় ভাল ফল করে তৃণমূল। বরং বেশ কিছু আসন কমে বিজেপির। কমিশনের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে খসড়া এবং চূড়ান্ত তালিকার মধ্যে প্রায় ৩৪.১৮ লক্ষ আবেদন-আপত্তি গ্রহণ করা হয়েছিল। অসাধু উপায়ে কোনও নাম তালিকাভুক্ত করা বা যোগ্য কারও নাম বাদ পড়া নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের অভিযোগ ছিল না।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহারাষ্ট্রে ভোটের পর থেকে ভোটার তালিকার সংশোধন নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। সংশোধন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলও। এই দিক থেকে কমিশনের দাবি তাৎপর্যপূর্ণ।