সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে শাহজাহানের আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই! মামলায় হস্তক্ষেপ করল না হাই কোর্ট
আনন্দবাজার | ০৪ আগস্ট ২০২৫
সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায় মোতাবেক অভিযুক্তের এই আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না।
সন্দেশখালিতে দুই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান শাহজাহান। সোমবার তাঁর সেই আবেদনের রায় ঘোষণা করে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৮ জুন সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন শাহজাহান। গত সোমবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি হয়। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শ্যামল সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এই সোমবার রায় ঘোষণা হল।শাহজাহানের পক্ষে আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের মক্কেলকে অভিযুক্ত করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও মামলার আবেদনকারীরা কেন তাঁকে মূল মামলায় যুক্ত করেননি? এর আগে বিচারপতি দেবাংশু বসাক শাহজাহানের আইনজীবীর সওয়ালের প্রেক্ষিতে বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের বক্তব্যে আদালতের প্রশ্নগুলির কোনও জবাব নেই। যেখানে সিঙ্গল বেঞ্চ রায়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আপনার মক্কেলের যুক্ত হওয়া অপ্রয়োজনীয়, সেখানে আপনার এই আবেদন করার এক্তিয়ার কী?’’
আদালতের একটি সূত্রে খবর, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে সন্দেশখালির ভাঙিপাড়ায় রাজনৈতিক অশান্তি চলছিল। সেই বছরের ৮ জুন সেখানকার একই পরিবারের দুই বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগ ওঠে। এ পর্যন্ত ওই পরিবারের এক সদস্য নিখোঁজ। মৃতদের পরিবারের তরফে ন্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাতে সন্দেশখালির তৎকালীন ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ তৃণমূল নেতা শাহজাহনের নাম ছিল। কিন্তু মামলাটি যখন সিআইডি হাতে নেয় এবং আদালতে চার্জশিট পেশ হয়, তখন দেখা যায় শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার পাঁচ বছর পর সিবিআই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেন মৃতদের মধ্যে এক জনের স্ত্রী। সেই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।