• শিশুর জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রে ইচ্ছেমতো নাম বদল নয়, নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ আগস্ট ২০২৫
  • শিশুর জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রে ইচ্ছেমতো নাম বা তথ্য পরিবর্তনের প্রবণতা রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি জারি হওয়া এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এখন থেকে আর চাইলেই জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রে নাম, তারিখ কিংবা পরিবারের সদস্যদের পরিচয় সংক্রান্ত কোনও তথ্য বদলানো যাবে না। সংশোধনের সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে সংশ্লিষ্ট এলাকার রেজিস্ট্রারের হাতে। কোনও তথ্য বদলানো প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পরিবারকে নির্দিষ্ট নথিপত্র জমা দিয়ে রেজিস্ট্রারকে সন্তুষ্ট করতে হবে। তবেই সেই বদলের অনুমতি মিলবে।


    স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, জন্ম-মৃত্যুর নথিতে শুধুমাত্র টাইপিং সংক্রান্ত ভুল, যেমন নামের বানান বিভ্রাট, জন্মস্থান বা জন্মতারিখে ছোটখাটো বানানগত ত্রুটি এই ধরনের সংশোধনই করা যাবে। কিন্তু নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তন, জন্মের তারিখ পাল্টানো, কিংবা বাবার নাম বাদ দেওয়া বা অন্য কারও নাম সংযোজন এই ধরনের গুরুতর ও মূলগত পরিবর্তন আর কোনওভাবেই অনুমোদিত নয়। এমনকি কোনও দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তাঁদের সন্তানের জন্মের শংসাপত্র থেকে বাবার নাম মুছে ফেলা যাবে না। আবার যদি মা দ্বিতীয়বার বিবাহও করেন, তবুও সন্তানের নথিতে নতুন বাবার নাম যুক্ত করা যাবে না। রেজিস্ট্রারে একবার যে নাম নথিভুক্ত হয়ে হয়েছে, তা চিরস্থায়ী হিসেবেই গণ্য হবে। এর পেছনে প্রশাসনের যুক্তি, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নাগরিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই নথির ভিত্তিতে স্কুলে ভর্তি, পরিচয়পত্র তৈরি, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া কিংবা ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়া নির্ভর করে। তাই নথিতে বারবার পরিবর্তনের সুযোগ থাকলে ভবিষ্যতে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাছাড়া, তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি, জালিয়াতি কিংবা প্রতারণার আশঙ্কাও থেকে যায়।

    এছাড়াও, রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুসারে কিছু বিষয় কোনওভাবেই বদলানো যাবে না বলেই জানানো হয়েছে। যেমন জন্মতারিখ, পিতার নাম বা নামের পুরোপুরি রদবদল এসব তথ্য একবার নথিভুক্ত হয়ে গেলে তা অপরিবর্তনীয় বলে বিবেচিত হবে। শুধু নামের বানান সংশোধনের জন্যও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, স্কুল অ্যাডমিশন সার্টিফিকেট ইত্যাদি জমা দিতে হবে। আর পদবি সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হবে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এফিডেভিট। সব মিলিয়ে, শিশুদের জন্ম-মৃত্যুর নথিকে আরও নির্ভরযোগ্য ও স্থায়ী করে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)