হুগলির তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার হুব্বা শ্যামলের প্রতিদ্বন্দ্বী বাঘা! ‘মূল চক্রী’ ভাই পাকড়াও হয়েছেন আগেই
আনন্দবাজার | ০৪ আগস্ট ২০২৫
হুগলির কানাইপুরে তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী খুনের মামলায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘা। হুব্বা শ্যামলের সঙ্গে এই বাঘার এলাকা দখলের লড়াইয়ে একদা অশান্ত থাকত কোন্নগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশ কয়েক বার বিভিন্ন মামলায় জেল খেটেছেন তিনি। তবে হুব্বা ২০১১ সালে খুন হওয়ার আগেই এলাকা ছাড়েন ওই বাঘা। পুলিশের সন্দেহ পিন্টুর খুনে তাঁর যোগ রয়েছে। রবিবার সকালে বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে কুখ্যাত এই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কানাইপুরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টুর খুনে ‘মূল চক্রী’ বলা হচ্ছে বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশাকে। আগেই তাঁকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে দুই সুপারি কিলারও ধরা পড়েছেন। তাঁদের নাম বিশ্বজিৎ দাস এবং দীপক মণ্ডল। বিশ্বজিৎকে ধরা হয় বারাসতের একটি হোটেল থেকে। সেখানে বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন তিনি। দীপককে ধরা হয় বাড়ি থেকে। তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। রবিবারই তাঁদের আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। তার আগেই গ্রেফতার হলেন বিশ্বনাথ ওরফে বিশার দাদা বাঘাকে।
গত বুধবার নিজের দোকানের সামনে খুন হন পিন্টু। তদন্তে নেমে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের পাকড়াও করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, জমির কারবার থেকেই শত্রুতা। সেখান থেকে এই খুন। জানা যাচ্ছে, বাঘার স্ত্রীর নামে একটি জমি রয়েছে। সেই জমি বিক্রি নিয়ে পিন্টুর সঙ্গে অশান্তি হয় তাঁর ‘বিজ়নেস পার্টনার’ বিশার। ওই বিশাই তিন লক্ষ টাকা দিয়ে দুই ভাড়াটে খুনেকে দিয়ে পিন্টুকে খুন করিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বিশার দাদার বাঘারও ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল ধৃতদের। বিচারক বিশাকে আট দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বিশ্বজিৎ ও দীপক নামে দুই ভাড়াটে খুনিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
অন্য দিকে, শনিবারই কানাইপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুল বিশ্বাসকে সরিয়ে দিয়েছে তাঁর ‘ডিপার্টমেন্ট’। ওই জায়গায় আনা হয়েছে চন্দননগর থানার অফিসার বিশ্বজিৎ পালকে। আর রাহুলকে বদলি করা হয়েছে চন্দননগর থানায়। অনুমান করা হচ্ছে, তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনার পরেই এই রদবদল।