ডিভোর্স হলেও সন্তানের জন্ম শংসাপত্রে থাকবে বাবার নাম, নয়া নির্দেশ স্বাস্থ্য দপ্তরের
প্রতিদিন | ০৩ আগস্ট ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: চাইলেই সন্তানের জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রে ইচ্ছামতো সংশোধন নয়। এই মর্মে কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর। যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চাইলেই জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রে নাম পরিবর্তন করা যাবে না। যা কিছু বদল হবে, তা করার ক্ষমতা একমাত্র রেজিস্ট্রারেরই আছে। তাঁর সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে। জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রে নামের বানানে বা অন্য কোনও পরিবর্তন করতে হলে জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় নথি। সেই নথি দেখে রেজিস্ট্রার সন্তুষ্ট হলে তবেই তাঁর সম্মতিক্রমে নাম পরিবর্তন করা যাবে।
স্বাস্থ্য দপ্তর নয়া নির্দেশিকায় জানিয়েছে, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রে শুধুমাত্র ‘টাইপিং মিসটেক’ হলেই তা সংশোধন করা যাবে। অর্থাৎ নামের বানান ভুল, জন্ম মাস-তারিখের ভুল বানান, কিংবা জন্মস্থানে ছোটখাটো ভ্রম থাকলে তা সংশোধন করা যাবে। অন্য কোনও কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। যদি কোনও দম্পতির সন্তান হওয়ার পর ডিভোর্সও হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে পরবর্তীকালে শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট থেকে কোনওভাবেই বাবার নাম বাদ দেওয়া যাবে না। যদি মা ফের বিয়ে করেন তবুও বাবা হিসাবে নতুন কোনও নাম সংযোজন করা যাবে না শিশুর জন্মের শংসাপত্রে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, জন্মের শংসাপত্রে বাবা হিসাবে একবার যার নাম রেজিস্টার্ড হয়ে যাবে তা কোনওভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না। মূলত শিশুর স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না থাকে, সেদিকে তাকিয়েই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট ১৯৬৯ অনুযায়ী, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রে যা কোনওভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না, তা হল জন্মের তারিখ, বাবার নাম, নামের সম্পূর্ণ বদল, এমন কিছু যাতে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে। সমস্ত রেজিস্ট্রারের কাছে নির্দেশ গিয়েছে যদি কোনও ব্যক্তি নিজের জন্মের তারিখ অথবা জন্মস্থান পরিবর্তন করতে চান কোনওভাবেই যেন তাঁর আবেদন না গ্রহণ করা হয়। যে কোনও পরিবর্তনের জন্য আবেদনকারীর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। পদবি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ফার্স্ট ক্লাস জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফিডেভিট করতে হবে। লাগবে স্কুল অ্যাডমিশন সার্টিফিকেটও।