লালবাজার ফের নিজেদের হেফাজত নিতে চাইলো কসবা কাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সহ আরও অন্য চার অভিযুক্তকে। জেল হেফাজত শেষে শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করানো হয়। ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টের সঙ্গে তাদের বয়ান মিলিয়ে দেখতেই সবাইকে জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে পুলিসের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করা হয়। সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল বলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে জানতে হবে, তাদের বক্তব্যে কোথায় ফাঁক রয়েছে। সেই কারণে হেফাজতে চাওয়া হয়।’ মনোজিতের আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বলেন, ‘আমার মক্কেলকে গ্রেপ্তারের কারণ কী, তা বলা হয়নি।
অথচ বিএনএসএস অনুযায়ী তা বাধ্যতামূলক।’ তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে গ্রেপ্তারের পর যে সাক্ষীর সই রয়েছে, তাঁকে মনোজিৎ চেনেই না। ডিএনএ পরীক্ষার সময় মনোজিতকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে দু’টি ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। এমনকী, তাকে নিয়ে জামাকাপড় বাজেয়াপ্ত করতে যাওয়ার সময়ও তাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মনোজিতের আইনজীবীর। গ্রেপ্তার হওয়া নিরাপত্তারক্ষীর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘জোর করে আমার মক্কেলকে আটকে রাখা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই।’ সব পক্ষের মতামত শোনার পর বিচারক চারজনকেই আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।