• বৃষ্টি কমলেও এখনও ডুবে বহু সেতু, রাস্তা! জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার! বাঁকুড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক কাঁচাবাড়ি
    আনন্দবাজার | ০৩ আগস্ট ২০২৫
  • শুক্রবার দুপুর থেকে সে ভাবে ভারী বৃষ্টি না-হওয়ায় শনিবার সামগ্রিক ভাবে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হল বাঁকুড়ায়। জেলার নদীগুলির জলস্তর বিপদ সীমার নীচে নেমে গেলেও, শনিবারও ডুবে থেকেছে একাধিক সেতু ও রাস্তা। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। অন্য দিকে, বুধবার থেকে টানা বৃষ্টিতে জেলায় দুই শতাধিক কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।

    বাঁকুড়ায় বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে ফুঁসতে শুরু করে দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শালি, শিলাবতী, ভৈরোবাঁকি-সহ একাধিক নদী। নদীগুলির জলস্তর এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, দ্বারকেশ্বর ও গন্ধেশ্বরী নদীর উপর থাকা সেতু জলের তলায় চলে যায়। শুক্রবার দুপুরের পর বাঁকুড়ায় আর ভারী বৃষ্টি না-হওয়ায় শনিবার সকাল থেকে নদীগুলির জলস্তর নামতে শুরু করে। এর ফলে শনিবার জলমুক্ত হয় গন্ধেশ্বরী নদীর মানকানালি সেতু। দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর নামলেও, শনিবারও ওই নদের উপর থাকা ভাদুল ও মীনাপুর সেতুর প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতা দিয়ে জল বইতে থাকে। এতে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ ছিল। দ্বারকেশ্বর নদের কেঞ্জাকুড়ার সেতু পুরোপুরি জলমুক্ত না হলেও, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ডুবে থাকা ওই সেতু দিয়ে শনিবার দুপুর থেকে পারাপার করেন সাধারণ মানুষ।

    অন্য দিকে, জমা জলে দুর্ভোগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমা জলে ভেসে গিয়েছে শান্তাশ্রম থেকে ইন্দাস ও করিশুন্ডা যাওয়ার রাস্তা। গোবিন্দপুর থেকে ইন্দাসগামী রাস্তাতেও জমা জলে নাকাল হতে হয় সাধারণ পথচারীদের।

    বিভিন্ন নদীর পার উপচে পড়া জল ও জমা জলের পাশাপাশি বাড়ি ভেঙে বিপত্তি হয়েছে জেলার নানা প্রান্তে। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিতে বাঁকুড়া জুড়ে ৬৪টি বাড়ি সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোট ১৬৪টি বাড়ি। বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন বলেন, ‘‘আমরা যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি। প্রতিটি ব্লক প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৈরি রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। জেলায় যথেষ্ট ত্রাণ সামগ্রীও মজুত রয়েছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)