শহরতলিতে ‘সমাধান শিবির’ ঘিরে ব্যাপক সাড়া, স্থানীয়রা তুলে ধরলেন সমস্যার কথা
বর্তমান | ০৩ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: শুধু শহর নয়, শহরতলিতেও ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সামাধান’ কর্মসূচি ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ল। জনপ্রতিনিধিদের সামনে রাস্তা, আলো, নিকাশি সংক্রান্ত সমস্যার কথা তুলে ধরলেন সাধারণ মানুষ। চটজলদি সেসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাসও পেলেন তাঁরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে এই কর্মসূচিতে উঠে এল শ্মশানের আধুনিকীকরণের দাবি। শনিবার কাকদ্বীপের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি বুথের গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। হাওড়ার পহেলাবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিবির পরিদর্শনে যান রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। হাওড়া জেলার ১৪টি ব্লকে ২৭টি শিবির হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এদিন ক্যাম্প হয়েছে। বনগাঁর পাশাপাশি বাগদা, গাইঘাটা ব্লকেও ক্যাম্প হয়েছে। হাওড়ার শরৎ সদনে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক অরূপ রায়। হাওড়া শহরে আরও ছ’টি জায়গায় ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে, বালি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বালি শিক্ষা নিকেতন স্কুলে তিনটি বুথকে নিয়ে এই কর্মসূচি হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বালির বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায়। সেখানে মূলত নিকাশি ও আবর্জনা সংক্রান্ত স্থানীয় সমস্যার কথা তুলে ধরেন বাসিন্দারা। নদীয়ার কল্যাণী শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি বুথ এলাকায় কর্মসূচি পালন হয়। হরিণঘাটা ও চাকদহ শহর ও কল্যাণী ব্লকেও পালিত হয়েছে এই কর্মসূচি। বারাসতের ১২ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ক্যাম্প হয়। বুথের মানুষ এদিন তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মধ্যমগ্রামের দিগবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্প হয়। জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রাজবলহাটে কর্মসূচির সূচনা করেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। হুগলিতে ৪০টি ক্যাম্প দিয়ে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। বারাকপুর মহকুমায় ১৯টি ক্যাম্প করে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন বারাকপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ বারিক।
তবে সরকারি উদ্যোগের মাঝে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত ও জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের উপস্থিতিতে জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বেলে দুর্গানগর হাইস্কুলে ক্যাম্প হয়। অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালীন উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে শিবির চলেছে। প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ সর্দার বলেন, ‘স্কুলে সরকারি অনুষ্ঠান চলাকালীন ইংরেজি পরীক্ষা চলছিল ঠিকই। কিন্তু দুপুরে তা শেষ হয়ে যায়। মাইকের মুখ ঘোরানো ছিল।’ জেলাশাসক বলেছেন, ‘পরীক্ষা ছিল না। তাও দেখছি।’ বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। তিনি বিরোধিতা করে বলেন, ‘এটা সমর্থনযোগ্য নয়। পরীক্ষার কথা ভেবে অন্য স্থান নির্বাচন করা উচিত ছিল। আমাকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি।’ অনুষ্ঠানে বারুইপুরের মহকুমা শাসক সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা হাজির ছিলেন। অন্যদিকে, বারুইপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ও বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তিনটি স্কুলে এই কর্মসূচি পালিত হয়।