• মহেশতলায় রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট, হাতেনাতে ধরলেন স্থানীয়রা
    বর্তমান | ০৩ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বজবজ: মহেশতলা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় আট কাঠা একটি পুকুর সাদা বালি ফেলে ভরাট করা চলছিল রাতের অন্ধকারে। নানাভাবে চেষ্টা করেও হাতেনাতে কাউকে ধরা যাচ্ছিল না। স্থানীয় কাউন্সিলার তাপস হালদার পুর প্রশাসনের কাছে এনিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে রবীন্দ্রনগর থানায় অভিযোগ করেন সন্তোষপুর কো- অপারেটিভ কলোনির সম্পাদক, সভাপতি সহ সদস্যরা। পুকুরটি ওই কলোনির ভিতরে। শনিবার ভোররাতে লরি থেকে ওই পুকুরে সাদা বালি ফেলার সময় খালাসিদের হাতেনাতে পাকড়াও করেন কলোনি কমিটির কর্তারা। গাড়ির চালক গা-ঢাকা দিলেও দু’জন খালাসিকে আটক করে পুলিস লরি সহ তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। থানায় নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ হয়েছে। কো-অপারেটিভ কলোনির সম্পাদক ভূপেশকুমার দে বলেন, ‘ওই প্লটের আগের মালিক আট কাঠা পুকুর ছাড়াও কিছু জমি কমিটির অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি করেছেন। এনিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়ে রয়েছে। হাতবদল হওয়ার পর থেকে পুকুরটি ভরাট করার যড়যন্ত্র শুরু হয়। কমিটি থেকে প্রতিবাদ করা হলেও রাতের অন্ধকারে বালি ফেলা হচ্ছিল। থানা ও কাউন্সিলারকে জানানোর পরও ভরাট আটকানো যাচ্ছিল না। কারা কখন বালি ফেলছে, ধরা যাচ্ছিল না।’ মহেশতলা পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য তথা কাউন্সিলার তাপস হালদার বলেন, ‘পকুর ভরাট আটকানোর জন্য আমরা একজোট হই। এদিন ভোরে যখন বালি ফেলছিল, সবাই মিলে গিয়ে ধরি। ইতিমধ্যে আট কাঠা পুকুরের প্রায় আড়াই কাঠা অংশ বালি ফেলে বোজানো হয়েছে। পুরসভা বিষয়টি নিয়ে আইনি পথে যাবে।’   নিজস্ব চিত্র   
  • Link to this news (বর্তমান)