সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ডিভিসি ক্রমাগত জল ছাড়ায় আমতা ২ নম্বর ব্লকের শর্টকার্ট চ্যানেল এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জমিতে জমা জল বের করার কোনও পথ নেই। যেকারণে চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডিভিসি জল ছাড়া বন্ধ না করলে খরিফ মরশুমে আর ধান চাষ করা যাবে না বলেই ধারণা কৃষকদের। নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে একটানা বৃষ্টিতে এই ব্লকের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকায় কৃষকরা চাষ করতে না পেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, ভাটোরা ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায়। দ্রুত জমি থেকে জল বের করতে না পারলে খরিফ মরশুমে ধান চাষের সম্ভবনা প্রায় নেই বললেই চলে। দ্বীপাঞ্চল ছাড়াও এই ব্লকের ঝিকিরা, বিনোলাকৃষ্ণবাটী, থলিয়া, গাজিপুর, নওপাড়া, তাজপুর, কুশবেড়িয়া, খালনা, ঝামটিয়া, কাশমলী গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু জায়গায় কৃষিজমি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। কৃষকদের এই উদ্বেগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। তিনি বলেন, অন্য সময় জমিতে জল থাকলে স্লুইস গেট খুলে ওই জল বের করা যায়। কিন্তু বর্তমানে নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি স্লুইস গেট খোলা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের বাংলা ফসল বিমা যোজনায় নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। গত বছরে যেভাবে কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন, এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানান বিধায়ক।