• মাকে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে
    বর্তমান | ০৩ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বেলদা: দুপুরে সময়মতো খেতে দেননি মা। সেই রাগে মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মেরে মাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দাঁতন থানার রেঞ্জুড়া এলাকায়। মৃতার নাম কাকলি বেরা(৫১)। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন কাকলিদেবী ও তাঁর ছোট ছেলে সন্দীপ। দীর্ঘদিন ধরে বর্ধমানে এক চিকিৎসকের কাছে দু’জনের চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের বাকি সদস্যরা চাষের কাজে মাঠে চলে যান। তখন বাড়িতে ছিলেন মা ও ছোট ছেলে। প্রতিবেশীদের দাবি, দুপুরে মায়ের কাছে খাবার চেয়ে চিৎকার করছিল অভিযুক্ত। সময়মতো খেতে না দেওয়ায় বাড়িতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে মায়ের মাথায় সজোরে আঘাত করে সে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন মা। এরপর হাতুড়ি হাতে নিয়ে চিৎকার করতে থাকে অভিযুক্ত। প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তাঁদেরকেও সে হাতুড়ি নিয়ে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। এরপর খবর যায় দাঁতন থানায়। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত সন্দীপকে নিরস্ত্র করতে সক্ষম হন পুলিসকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে কাকলি দেবীকে উদ্ধার করে দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। মানসিক অসুস্থতার জন্য বর্ধমানের এক চিকিৎসকের কাছে সন্দীপের চিকিৎসা চলছিল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সন্দীপকে সেখানে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বর্ধমানের সেই মানসিক আরোগ্য নিকেতনে পুলিসি প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে অভিযুক্ত। শনিবার পরিবারের তরফে করা অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা রুজু করেছে দাঁতন থানার পুলিস। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, কিছুটা সুস্থ হলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হবে।

    অভিযুক্তের দাদা তথা মৃতার বড় ছেলে জগন্নাথ বেরা বলেন, মা ও ছোট ভাই দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। বর্ধমানে এক চিকিৎসকের কাছে তাদের চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার দুপুরে হঠাৎই খাবার দেওয়া নিয়ে গন্ডগোলের জেরে ভাই মাকে মেরে ফেলে।
  • Link to this news (বর্তমান)