এখনও জ্বলেনি এমপি ফান্ডের টাকায় তৈরি হাইমাস্ট লাইট, বলরামপুরে ক্ষোভ
বর্তমান | ০৩ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: প্রায় দেড় বছর আগে এমপি ফান্ডের টাকায় তৈরি হাইমাস্ট লাইট উদ্বোধন করা হলেও তার আলো একদিনও পাওয়া যায়নি। এমনই অভিযোগ বলরামপুরের কুড়নি এলাকার বাসিন্দাদের। হাইমাস্ট লাইটের উদ্বোধনের ফলকে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংমাহাত ও বলরামপুরের বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাতর নাম জ্বলজ্বল করছে। যদিও প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি ওই হাইমাস্ট লাইট জ্বালানোর কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামপুরের কুড়নি মোড় এলাকায় পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি হাইমাস্ট লাইট লাগানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ওই হাইমাস্টের আলো জ্বলতে দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা সুদর্শন গড়াই বলেন, শুরুর সময় থেকেই একদিনও আলো জ্বলেনি। প্রায় ১৮ মাস আগে উদ্বোধন হয়েছে। কী কারণে আলো জ্বলেনি, তা জানি না। তবে ওই বিদ্যুতের বিল কে দেবে, তা নিয়ে কোনও সমস্যা থাকতে পারে বলে মনে হয়। আমরা চাই, এত খরচ করে তৈরি হাইমাস্ট লাইটটি দ্রুত যাতে সাধারণ মানুষের কাজে লাগে তার ব্যবস্থা করা হোক। কুড়নি মোড় এলাকার ব্যবসায়ী বিজয় মণ্ডল বলেন, প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে, ওই আলো এখনও জ্বলেনি। হাইমাস্টটি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হলে এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধা হবে।
বলরামপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গৌতম মাহাত বলেন, প্রায় দু’বছর আগে হাইমাস্টটি লাগানো হয়েছে। তবে তার আলো এখনও কেউ দেখতে পাননি। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী মানুষেরও অভিযোগ রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতেও খোঁজ নিয়েছি। ওই লাইটটি দ্রুত জ্বালানোর ব্যবস্থা করার জন্য এমপি সাহেবকে অনুরোধ করব।
এবিষয়ে পুরুলিয়ার বিজেপি এমপি জ্যোতির্ময় সিংমাহাতকে ফোন করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ওই হাইমাস্ট লাইটের ফলকেই নাম রয়েছে বলরামপুরের বিজেপি বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাতরও। তিনি বলেন, এমপি ও এমএলএর এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে এরকম অনেক হাইমাস্ট লাইট এবং সৌরশক্তি চালিত পানীয় জলপ্রকল্প বসানো হয়। কুড়নি মোড়ের ওই হাইমাস্টটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের এনওসিও নেওয়া আছে। ইলেকট্রিক বিল তো গ্রাম পঞ্চায়েতকেই দিতে হবে। ওই ফান্ড তো গ্রাম পঞ্চায়েতকেই দেওয়া হয়েছিল। ইলেকট্রিক বিল তো আর এমপি বা এমএলএ নিজের জমি বিক্রি করে দেবেন না। শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য সাধারণ মানুষকে সমস্যার মধ্যে রাখা হচ্ছে।
যদিও বলরামপুরের দড়দা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীননাথ সিংসর্দার বলেন, বিজেপি নেতারা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন। ওই লাইটের ফান্ড পঞ্চায়েতে আসেনি। টেন্ডারও পঞ্চায়েত করেনি। তাছাড়া, বিপুল পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল মেটানোর সামর্থ্য পঞ্চায়েতের নেই। এই বিষয়ে কোনও এনওসি আগে দেওয়া হয়নি।