• চিন্তা বাড়িয়ে তিলপাড়া ব্যারাজের ডিভাইডারের ফাটল ক্রমশ বাড়ছে
    বর্তমান | ০৩ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: চিন্তা বাড়িয়ে বর্ষার মরশুমে তিলপাড়া ব্যারাজের ডিভাইড ওয়ালের ফাটল ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যারাজের উপর চাপ কমাতে সেচদপ্তরের তরফে রবিবার সকাল থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হল। অন্যদিকে, ব্যারাজের ক্ষত সারিয়ে তুলতে ড্যাম বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আজ, সোমবার তিনি সিউড়িতে এসে পৌঁছাবেন। 

    সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনই তিনি তিলপাড়া ব্যারাজ পরিদর্শন করতে পারেন। তাঁর পরামর্শ মেনেই ব্যারাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজ্য সেচদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস সেনগুপ্ত বলেন, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ইতিমধ্যে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত জলস্তর নামবে। এদিনই জুলফিকার সাহেব ব্যারাজ পরিদর্শন করবেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। 

    তিলপাড়া ব্যারাজের স্বাস্থ্য ভালো নয়। বিষয়টি অনুধাবন করতেই গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ব্যারাজ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে, ময়ূরাক্ষী নদীর জলস্তর বাড়তেই একের পর এক লক গেট খুলে জল ছাড়া শুরু হয়। তার জেরে ব্যারাজ সংস্কারের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুন প্রায় ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। তার জেরে ডাউন স্ট্রিমে ব্যারাজ অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যারাজের চার ও পাঁচ নম্বর লক গেটের মাঝে থাকা ডিভাইড ওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। শনিবার সেই ফাটল আরও বড় আকার নেয়। অন্যদিকে, ডিভাইড ওয়ালের নীচ থেকে বালি ও মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। 

    এই পরিস্থিতিতে ব্যারাজের নিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিনই জেলা পুলিস ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ব্যারাজের উপর থাকা সেতুর দু’দিকে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। কড়া পুলিসি নজরদারিতে সন্ধ্যা থেকেই ভারী যানবাহন ঘুরপথে চালানো হয়। যদিও খালি বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। তবে এদিন সকাল থেকে শুধুমাত্র ছোট চারচাকা গাড়ি ও বাইক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সেতুর নিরাপত্তার স্বার্থে খালি বাস চলাচলের ক্ষেত্রেও জেলা পুলিসের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারী যানবাহন ঘুরপথে চলছে। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিসের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নিয়েছেন বীরভূমের পুলিস সুপার আমনদীপ। সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে ১৪ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। তবে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে ব্যারাজ বাঁচাতে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে। অন্যদিকে, ব্যারাজের ক্ষত মেরামত করার বিষয়টিও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করছে বলেই সেচদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)