• ধস নেমে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, বিকল্প পথে সিকিম যাত্রা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ আগস্ট ২০২৫
  • আবারও ধসের কবলে উত্তরবঙ্গ। শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির জেরে শনিবার সকালে তিস্তাবাজার সংলগ্ন তারখোলার কাছে জাতীয় সড়ক ১০-এর একাংশে ভয়াবহ ধস নামে। ভেঙে পড়া রাস্তার অংশ তলিয়ে গিয়েছে পাশ দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীতে। ফলে ফের যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি ও সিকিমের মধ্যে মূল সড়কপথ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ধসের ঘটনার পরই বিপদ এড়াতে দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই জাতীয় সড়কে যান চলাচল। এই রাস্তাটিকেই সিকিমের ‘লাইফলাইন’ বলা হয়ে থাকে, কারণ পর্যটক, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধসের জেরে আপাতত কয়েক দিন ওই সড়ক পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলেই আশঙ্কা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

    এর মধ্যেই শনিবার দুপুরে কালিম্পং জেলার ঋষিখোলাতেও ধস নামে জাতীয় সড়ক ৭১৭এ-তে। পাহাড় থেকে নেমে আসে একাধিক বড় পাথর ও বোল্ডার, যার জেরে রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। তাতে আরও সঙ্কটে পড়ে উত্তরবঙ্গ-সিকিম সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

    বর্তমানে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী গাড়িগুলি বিকল্প পথ হিসাবে লাভা ও গরুবাথান ঘুরে যাতায়াত করছে। যদিও সেই রাস্তাগুলির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, ফলে দীর্ঘ হচ্ছে যাত্রাপথ এবং ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদের। পণ্য পরিবহণেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। মূলত ১০ নম্বর সড়ক ও ৭১৭এ সড়ক ধরেই পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। দু’টি পথই একযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিকিমে রসদ পাঠানোও এখন চ্যালেঞ্জের মুখে।

    তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কালিম্পং হয়ে এখনও সিকিম যাওয়ার কিছু রাস্তা খোলা রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু করা হবে বলেও জানানো হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে।

    স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরাও। বর্ষার সময় ধসের আশঙ্কা থাকলেও এত বড় আকারে রাস্তা ভেঙে তিস্তা নদীতে তলিয়ে যাওয়া সাম্প্রতিক কালে বিরল। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় আরও ধসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। যাত্রাপথে বেরনোর আগে আবহাওয়ার অবস্থা ও সড়ক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে তবেই রওনা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)