• চা বাগানে বকেয়া পিএফ প্রায় ১০ কোটি, কেন্দ্রকে তোপ ঋতব্রতর
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ আগস্ট ২০২৫
  • কেন্দ্রের অধীনস্থ চারটি চা বাগানের শ্রমিকরা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পাচ্ছেন না। রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানিয়েছেন, জমা না পড়া টাকার পরিমাণ ৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। শ্রমিকদের হকের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। গোটা বিষয়টি মোদী সরকারের ‘জুমলা’ বলে কটাক্ষ করেন ঋতব্রত।

    উল্লেখ্য, কারবালা, নিউ ডুয়ার্স, বানারহাট ও চুনাভাট্টি এই চারটি চা বাগানই কেন্দ্রের অধীনস্থ। এই চার চা বাগানের শ্রমিকরাই ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পিএফের টাকা পাচ্ছেন না। এবিষয়ে ভারী শিল্প মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভূপতিরাজু শ্রীনিবাস বর্মা জানিয়েছেন, ভারী শিল্প মন্ত্রকের অধীনে থাকা অ্যান্ড্রু ইউল সংস্থার তরাই–ডুয়ার্স অঞ্চলের চারটি চা বাগানের শ্রমিকরা গত কয়েকদিন ধরে পিএফ পাননি। সাম্প্রতিককালে ছত্রাক ও পোকার আক্রমণের কারণে চা বাগানে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি সামলাতেই শ্রমিকদের পিএফ জমা দেওয়া হচ্ছে না। ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর থেকে গত জুন মাস পর্যন্ত কত পরিমাণ পিএফ জমা দেওয়া হয়নি তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে কেন্দ্র। মন্ত্রী জানিয়েছেন, কারবালায় ২.৯৪ শতাংশ, নিউ ডুয়ার্সে ২.৮১ শতাংশ, বানারহাটে ২.২৯ ও চুনাভাট্টিতে ৩.৫৬ শতাংশ পিএফ জমা পড়া বাকি আছে।

    এই পরিসংখ্যানকে ভয়াবহ বলে আখ্যা দিয়েছেন ঋতব্রত। শ্রমিকদের টাকা আটকে রেখে নরেন্দ্র মোদীর সরকার অপরাধ করছে বলে দাবি করেন তিনি। চা শিল্প নিয়ে বড় বড় কথা বলা হলেও চারটি চা শ্রমিকদের ন্যায্য পিএফ কেন জমা পড়ল না এবং এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হবে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। উল্লেখ্য, সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যসভায় চা বাগানের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শ্রমিকদের পিএফ দেওয়া হচ্ছে না বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)