• ছাত্র সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছোল কলকাতা হাইকোর্টে
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০১ আগস্ট ২০২৫
  • রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া নিয়ে দায়ের হওয়া একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার মামলার শুনানি নির্ধারিত থাকলেও রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে উপস্থিত না থাকায় বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি স্থগিত রাখে। আদালত জানায়, আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানি হবে। সে দিন সব পক্ষকে প্রস্তুত হয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু দিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এই নিয়ে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি একটি হলফনামা তুলে ধরে জানান, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদের অস্তিত্ব নেই। এমনকি, কিছু প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন সম্পূর্ণ স্থগিত। ফলে কার্যকর কোনও ছাত্র সংগঠন কাজ করছে না।

    এই বিষয়ে আগেই হাইকোর্ট রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দেয়, যেখানে বৈধ ছাত্র সংসদ নেই বা নির্বাচন হয়নি, সেসব প্রতিষ্ঠানে ‘ছাত্র সংসদ কক্ষ’ তালাবদ্ধ করে রাখতে হবে। কোনও ছাত্র শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া ওই কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রয়োজন হলে ছাত্রকে লিখিতভাবে প্রবেশের কারণ জানাতে হবে। আদালত স্পষ্ট করে দেয়, এই নির্দেশ শুধুমাত্র ছাত্র সংসদ কক্ষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

    এর আগে ১৭ জুলাইয়ের শুনানিতে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চ রাজ্যকে প্রশ্ন তোলে, কেন এত দিন ধরে নির্বাচন হয়নি? রাজ্যের তরফে জানানো হয়, বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাই প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে আদালত জানিয়ে দেয়, রাজ্যকে প্রথমে নির্বাচন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই হবে, এরপরের বিষয়গুলো আদালত বিবেচনা করবে।

    ছাত্র রাজনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে এই মামলাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে শিক্ষামহল। এখন দেখার, ৭ আগস্টের শুনানিতে কী অবস্থান নেয় রাজ্য সরকার।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)