• বিমল গুরুং-রোশন গিরির সঙ্গে সাক্ষাৎ শুভেন্দুর, পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া ইঙ্গিত?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ আগস্ট ২০২৫
  • পাহাড়ের পুরনো রাজনৈতিক দুই মুখ বিমল গুরুং ও রোশন গিরির সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় তাঁরা বৈঠকে বসেন। এই সাক্ষাৎ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ২০২৬ সালের বিধানসভা এগিয়ে আসছে। সেই আবহেই গুরুংদের সঙ্গে শুভেন্দুর সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। পাহাড় ও ডুয়ার্সে বিমল গুরুং এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী মুখ। তাঁর উপস্থিতি সেখানে রাজনৈতিক সমীকরণে পরিবর্তন আনতে পারে বলে মত অনেকের।


    ২০১৭-তে পাহাড়ে অশান্তির সময় গুরুং কার্যত এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন। দীর্ঘ সময় আত্মগোপন করে থাকার পর ২০২০ সালে কলকাতায় প্রকাশ্যে এসে তৃণমূলকে সমর্থনের বার্তা দেন তিনি। এমনকি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট এবং পরবর্তীতে দার্জিলিং পুরনির্বাচনে তাঁর দল গোর্খা জন মুক্তি মোর্চা তৃণমূলের সঙ্গে জোটেও লড়ে। কিন্তু সে ফল খুব একটা প্রত্যাশিত হয়নি।

    এরপর ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির দিকে ঝুঁকতে দেখা যায় গুরুংকে। শুভেন্দু অধিকারীর সভায় হাজির হয়ে তিনি তখন প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, বিজেপিকে সমর্থন করার কথা। সেই ঘোষণায় পাহাড়ে গেরুয়া শিবির কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন পেলেও, ফলাফলে তেমন প্রভাব পড়েনি।

    তবে বিজেপির সঙ্গে গুরুংয়ের সম্পর্ক নতুন নয়। ২০০৭ সাল থেকে পাহাড়ে বিজেপির উত্থানের পেছনে গুরুংয়ের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে দার্জিলিং লোকসভা আসনে বিজেপির একাধিকবার জয়ের নেপথ্যে তাঁকে বড় ফ্যাক্টর হিসেবেই দেখা হয়।।এই প্রেক্ষাপটে, ফের একবার গুরুং ও রোশন গিরিকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে দেখা যাওয়া নিছক সৌজন্য নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, পাহাড়ে জাতিগত আবেগ এবং গুরুংয়ের বামপন্থাবিরোধী অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ২০২৬-এর নির্বাচনে পাহাড়ে আরও সংগঠিতভাবে নামতে চায়। তবে এই বৈঠকের পর এখনও কোনও পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবুও শুভেন্দু-গুরুং বৈঠক পাহাড় রাজনীতিতে নতুন জোট বা সমঝোতার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন অনেকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)