• ‘জয় বাংলা’ বলতেই রাস্তায় বচসায় জড়িয়ে পড়লেন শুভেন্দু, সংসদে তুললেন মহুয়া
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০১ আগস্ট ২০২৫
  • ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনেই মেজাজ হারালেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বচসায় জড়িয়ে পড়লেন রাস্তার লোকের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। লোকসভায় জমা দেওয়া সেই অভিযোগ পত্রে মহুয়া লিখেছেন, ‘একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক স্থানীয় বাসিন্দাকে জয় বাংলা স্লোগান তোলার জন্য রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।’

    পাশাপাশি মহুয়া বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনেও সরব হন। তিনি বলেন, ‘পহেলগামে যখন জঙ্গি হামলা হল, তখন এক ঘণ্টা অবধি কোনও নিরাপত্তারক্ষীকে দেখা গেল না। আর যখন গ্রাম বাংলায় বিরোধী দলনেতা একজন গরিব মানুষকে বলছেন, মেরে তার চামড়া গুটিয়ে নেবে, সেই সময় বাহিনী তাতে মদত দিচ্ছে। এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজ?’

    মহুয়ার অভিযোগ, নিরাপত্তা বাহিনীকে দিয়ে রাস্তায় সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগপত্রে লেখেন, “জয় বাংলা স্লোগান” এ রাজ্যের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত। আর বিরোধী দলনেতার এই আচরণ আসলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধেরই একটা নজির। তার থেকেও আশঙ্কাজনক স্লোগান দেওয়া সেই ব্যক্তির উপর শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণ। তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে রীতিমতো ওই ব্যক্তিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেছেন মহুয়া।

    মহুয়া অভিযোগ করেন, এই হুঁশিয়ারি শুধু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নয়, সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করেও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী যেহেতু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতাধীন। তাই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকেও তোপ দাগেন মহুয়া। তাঁর অভিযোগ, ‘দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেমন একদিকে মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ। তেমনই দেশের সীমান্তকেও নিরাপদ রাখতে পারেননি। আর তার মাঝেই সাধারণের প্রতি কেন্দ্রীয় বাহিনীর এমন আচরণেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। তাই ওনার এই পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)