গত বছর ঘোষণা করেছিলেন পুজো অনুদান বাড়িয়ে এক লক্ষ করে দেওয়া হবে। কিন্তু ‘সারপ্রাইজ’ কিছু বাকি ছিল। এক লক্ষের বদলে এই বছর পুজোয় ক্লাবগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে দেবেন বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও ৮০ শতাংশ ছাড় পাবে ক্লাবগুলি।
প্রসঙ্গত, গত বছর ক্লাবগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন পরবর্তী বছরে এই অনুদান বাড়িয়ে এক লাখ করে দেওয়া হবে। কিন্তু আদতে বাড়়ল আরও ১০ হাজার। মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবার পুজো উপলক্ষে পেতে চলেছে ক্লাবগুলি। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ বিলেও ব্যাপক ছাড় পাবে রাজ্যের প্রতিটি ক্লাব। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দিতে সিইএসই ও রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদকে বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চলতি বছরে কিছুটা এগিয়ে এসেছে পুজো। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে শারদোৎসব। রথের দিন খুঁটিপুজোর মাধ্যমে বহু ক্লাবই শুরু করে দিয়েছে পুজো প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক ছিল। বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতা পুরসভা, দমকল বিভাগ, সিইএসসি, পুলিশ প্রশাসন, রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষকর্তারা, পরিবহণ ও স্বাস্থ্য দফতরের মতো বিভিন্ন পরিষেবামূলক দফতরের প্রতিনিধিরা।
মুখ্যমন্ত্রী এই দিন বলেন, ‘কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। কন্ট্রোলরুমগুলো যেন সারা ক্ষণ সক্রিয় থাকে। ভিড় এড়াতে প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ আলাদা রাখতে হবে। পুজোমণ্ডপে পাবলিক অ্যাড্রেসাল সিস্টেম থাকতে হবে। পরিবহণ দফতরকে যেন বেশি গাড়ি চালায়, যাতে মানুষ সময়ে সময়ে গাড়ি পান। মেট্রো যাতে একটু বেশি ক্ষণ চলে। লোকাল ট্রেনও যাতে পাওয়া যায় রাতে। পুজোমণ্ডপগুলিতে অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রাখতে বলব। পদপিষ্টের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটাও দেখতে হবে।’ চলতি বছর পুজো কার্নিভাল হবে ৫ অক্টোবর। বিসর্জন ২,৩ ও ৪ অক্টোবর।
২০১৮ সালে রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তা ক্লাবগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই বিদ্যুতের বিলে ২৫ শতাংশ ছাড় ছিল। ২০১৯ সালে অনুদান বাড়ে ২৫ হাজার টাকা। করোনার বছরে তা দ্বিগুণ হয়ে ৫০ হাজার টাকা হয়। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৬০ হাজার, ২০২৩ সালে ৭০ হাজার ও ২০২৪ সালে আরও বেড়ে ৮৫ হাজার টাকা হয়। এ বার বেড়ে ১ লক্ষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হল ১ লক্ষ ১০ হাজার। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ক্লাবের সংখ্যাও।